ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।(সূরা নূর -২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
« ﺍﺿْﻤَﻨُﻮﺍ ﻟِﻲ ﺳِﺘًّﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﺃَﺿْﻤَﻦْ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ : ﺍﺻْﺪُﻗُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺪَّﺛْﺘُﻢْ، ﻭَﺃَﻭْﻓُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻋَﺪْﺗُﻢْ، ﻭَﺃَﺩُّﻭﺍ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺅْﺗُﻤِﻨْﺘُﻢْ، ﻭَﺍﺣْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻜُﻢْ، ﻭَﻏُﻀُّﻮﺍ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭَﻛُﻢْ، ﻭَﻛُﻔُّﻮﺍ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻜُﻢْ »
যে ব্যক্তি ছয়টি জিনিষের জামিন হবে,আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হবো। (১)যখন কথা বলবে তখন সত্য কথা বলবে।(২)যখন ওয়াদা করবে তখন পূর্ণ করবে।(৩)যখন কারো নিকট আমানত রাখা হবে তখন চাহিবামাত্র সেটা ফিরিয়ে দিবে।(৪)তোমাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করো(৫)তোমাদের চক্ষুর হেফাজত করো(৬)তোমাদের হাতকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখো।(মসনদে আহমদ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের আগে শারিরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ হারাম। এজন্য সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে। খলিফা ব্যতীত বা খলিফার নির্দেশে কাযী ব্যতীত এক কথায় ইসলামি হুকুমত ব্যতীত আর কারো শাস্তি প্রয়োগ করার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা নাই। সুতরাং আপনি তাকে কোনো প্রকার শাস্তি দিতে পারবেন না। তাকে তাওবাহ করতে হবে, আল্লাহর গযব থেকে বাচতে।