আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ


খুব অল্প বয়সে আমার বন্ধু একটা শারিরিক সম্পর্কে জড়িত হয়ে পড়ে তখন তার তেমন বয়স ছিল না সে কিছুই বুজতো না ।কিন্তু যখন সে বুজতে পারে তখন সে তওবা করে সে এমন আর জীবনে ও করবে না।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।দীর্ঘ ৪-৫ সে আর ওই মেয়েটির সাথে আর শারিরিক সম্পর্ক করে না।এমতাবস্থায় মেয়েটি যদি আমার বোন হতো তাহলে ছেলেটিকে কি শাস্তি দেওয়া লাগত?নাকি তাকে ক্ষমা করা উচিত?

(মেয়েটি তার সম্পপর্কের নিকট আত্নীয়)
প্লিজ জানাবেন...জাজাকাল্লাহ খাইরুন

1 Answer

+1 vote
by (599,820 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।(সূরা নূর -২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
« ﺍﺿْﻤَﻨُﻮﺍ ﻟِﻲ ﺳِﺘًّﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﺃَﺿْﻤَﻦْ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ : ﺍﺻْﺪُﻗُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺪَّﺛْﺘُﻢْ، ﻭَﺃَﻭْﻓُﻮﺍ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻋَﺪْﺗُﻢْ، ﻭَﺃَﺩُّﻭﺍ ﺇِﺫَﺍ ﺍﺅْﺗُﻤِﻨْﺘُﻢْ، ﻭَﺍﺣْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻜُﻢْ، ﻭَﻏُﻀُّﻮﺍ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭَﻛُﻢْ، ﻭَﻛُﻔُّﻮﺍ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻜُﻢْ » 
যে ব্যক্তি ছয়টি জিনিষের জামিন হবে,আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হবো। (১)যখন কথা বলবে তখন সত্য কথা বলবে।(২)যখন ওয়াদা করবে তখন পূর্ণ করবে।(৩)যখন কারো নিকট আমানত রাখা হবে তখন চাহিবামাত্র সেটা ফিরিয়ে দিবে।(৪)তোমাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করো(৫)তোমাদের চক্ষুর হেফাজত করো(৬)তোমাদের হাতকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখো।(মসনদে আহমদ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের আগে শারিরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ হারাম। এজন্য সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে। খলিফা ব্যতীত বা খলিফার নির্দেশে কাযী ব্যতীত এক কথায় ইসলামি হুকুমত ব্যতীত আর কারো শাস্তি প্রয়োগ করার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা নাই। সুতরাং আপনি তাকে কোনো প্রকার শাস্তি দিতে পারবেন না। তাকে তাওবাহ করতে হবে, আল্লাহর গযব থেকে বাচতে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...