আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
682 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু  আলাইকুম

১ঃ-কোন ওয়াসওয়াসা রুগি যদি  মুখে বলেছে কি বলেনি এটা নিয়ে কনফিউশনে থাকলে বা মনে মনে ভাবার সময় ইশশ,ধ্যাৎ,ইমম এ ধরনের শব্দ মুখ দিয়ে বের হলে সে ব্যাপারে ইসলামে হুকুম কি?

২ঃ-ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে মনের  সাথে যুদ্ধ করতে করতে যদি কোন ব্যক্তি অনিচ্ছায়  মুখ ফসকে "তালাক দিলাম "বলে ফেলে এবং বলার সময় তার স্ত্রীর কথাই মনে থাকে,, কিন্তু সে ব্যক্তি তার শান্ত অবস্থায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার স্ত্রীর সাথেই স্বামী স্ত্রী হিসাবে থাকতে চায় বরং স্ত্রীকে হারানোর ভয়েই সে সর্বদা এতটাই উদ্বিগ্ন থাকে যে যার ফলে আজ সে ওয়াসওয়াসার শিকার তাহলে তার ক্ষেত্রে ইসলামে হুকুম  কি?

৩ঃ- ইজাব কবুলের দুই-তিন মাস আগে কাবিন করানো হলে ওই কাবিন নামায় ১৮ নং ধারায় দিয়া অনুমতি ইসলামের দিক দিয়ে  কতটা কার্যকর?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা নেই।    

(০২)
তালাক। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

এ ভয়ানক শব্দটি ইচ্ছাকৃতভাবে বলুক বা অনিচ্ছায় বলুক,জবরদস্তি মূলক বলুক বা জবরদস্তি ছাড়াই বলুক,   নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়ে গিয়েছে।
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার আগেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে "" ফিরিয়ে নিলাম"" বলালেই হয়ে যাবে।
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চালে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।   
,
আরো জানুনঃ
     
(০৩)
শুধু কাবিন করানোর দ্বারা যেমন স্ত্রীর সাথে সহবাস,স্ত্রী সুলভ আচরন কথা বার্তা,মোহর,ভরনপোষণ কোনোটিই শরীয়ত কর্তৃক গৃহীত হয়না।
সুতরাং সেই কাবিন নামার ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা দিলেও সে সেই ক্ষমতা পাবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা মহর ইত্যাদিকে বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন।
واحل لكما ما وراء ذلكم ان تبتغوا باموالكم محصنين غير مسافحين فما استمتعتم به منهن فاتوهن اجورهن فريضة ولا جناح عليكم فيما تراضيتم به من بعد الفريضة ان الله كان عليما حكيما

উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্যদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, যে স্বীয় সম্পদ দ্বারা প্রয়াসী হবে তাদের সাথে বিবাহবন্ধনে, ব্যভিচারে নয়। অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।-সূরা নিসা : ২৪


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
আমি এক জায়গায় দেখেছিলাম যে কোন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ দিয়ে তালাক বের হলেও তালাক হবে না,কারন সে জবরদস্তির স্বীকার,জবরদস্তিতে কোন তালাক হয় না, কেননা শব্দটি বের  না করার তীব্রতার কাছে ব্যক্তিটির শয়তানি ওয়াসওয়াসা এতটাই শক্তিশালী থাকে যে ওই ব্যক্তি শত চেষ্টা করেও শব্দটি উচ্চারণ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না তখন,, আর সাধারনত ওয়াসওয়াসার জন্য ব্যক্তি যখন না চাইলেও এই সব কথা মনে মনে ভাবতে থাকে তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার তখন স্ত্রীর কথা মনে থাকবেই, এই ব্যপারে আপনার অভিমত কি?
by (20 points)
মহরের ব্যপারটা পরিস্কার বুজতে পারছি না,,আমাদের দেশে ত কাবিনের সময়ই কত টাকা মহর ধার্য  করা হবে তা ঠিকঠাক করা হয়ে থাকে এবং এরপর সাইন করা হয়,,,মহর ঠিক করে তারপর সাইন করা হলে ১৮ নং ধারার অনুমতি কি ইসলামে কার্যকর হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...