(০২)
তালাক। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।
এ ভয়ানক শব্দটি ইচ্ছাকৃতভাবে বলুক বা অনিচ্ছায় বলুক,জবরদস্তি মূলক বলুক বা জবরদস্তি ছাড়াই বলুক, নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়ে গিয়েছে।
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার আগেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে "" ফিরিয়ে নিলাম"" বলালেই হয়ে যাবে।
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চালে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
,
আরো জানুনঃ
(০৩)
শুধু কাবিন করানোর দ্বারা যেমন স্ত্রীর সাথে সহবাস,স্ত্রী সুলভ আচরন কথা বার্তা,মোহর,ভরনপোষণ কোনোটিই শরীয়ত কর্তৃক গৃহীত হয়না।
সুতরাং সেই কাবিন নামার ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা দিলেও সে সেই ক্ষমতা পাবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা মহর ইত্যাদিকে বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন।
,
واحل لكما ما وراء ذلكم ان تبتغوا باموالكم محصنين غير مسافحين فما استمتعتم به منهن فاتوهن اجورهن فريضة ولا جناح عليكم فيما تراضيتم به من بعد الفريضة ان الله كان عليما حكيما
উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্যদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, যে স্বীয় সম্পদ দ্বারা প্রয়াসী হবে তাদের সাথে বিবাহবন্ধনে, ব্যভিচারে নয়। অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।-সূরা নিসা : ২৪