আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
358 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
closed by
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

১. 10_minute_school এর অনলাইনে কিছু ভিডিওতে দেখা যায় সেখানে শিক্ষক ক্লাস নেন খাতা কলমে এক্ষেত্রে সুধু শিক্ষকের হাত দেখা যাই এবং তার কন্ঠ শোনা যায়। এক্ষেত্রে কোন গাইরে মাহরাম যদি অই ক্লাস করে তোবে কি গুনাহ হবে?

২. এক্ষেত্রে শিক্ষকের কি কোন গুনাহ হবে(শিক্ষক ছাত্র/ছাত্রী কে দেখবে না)?

৩. এক্ষেত্রে 10_minute_school কোম্পানির কি কোন গুনাহ হবে( উল্লেেখ্য যেঃ তারাই পুরো ব্যবস্থাটির সহায়ক)?
closed

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(১.২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি পুরুষ শিক্ষক হয়,আর গায়রে মাহরাম ব্যাক্তি যদি মহিলা হয়,সেক্ষেত্রে বিধানঃ
    
শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের জন্য পর পুরুষের চেহারা দেখা, যদি আকৃষ্ট হবার শংকা না থাকে,ফেতনার আশংকা না থাকে,  তাহলে জায়েজ আছে।

কিন্তু আকৃষ্ট হবার শংকা থাকলে জায়েজ নয়,হারাম।
তবে শংকা না থাকলেও দেখা অনুত্তম।

وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ [٢٤:٣١
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে। [সূরা নূর-৩১]

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم، فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِلْمَرْأَةِ؟ فَسَكَتُوا، فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ لِفَاطِمَةَ: أَيُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِلنِّسَاءِ؟ قَالَتْ: أَلَّا يَرَاهُنَّ الرِّجَالُ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّمَا فَاطِمَةُ بِضْعَةٌ مِنِّي» رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا

হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত সাহাবাগণকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, মহিলাদের জন্য সবচে’ উত্তম কী? তখন সকলেই চুপ ছিল। তারপর যখন আমি বাড়ীতে ফিরলাম। তখন ফাতিমা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলামঃ মহিলাদের জন্য সবচে’ উত্তম কী? তখন ফাতিমা রাঃ বললেন, পর পুরুষকে না দেখা। তারপর এটি আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয় ফাতিমা আমারী শরীরের অংশ। [মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫২৬]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيفَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتْ امْرَأَةٌ مِنْ خَشْعَمَ فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ وَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফযল ইবনু ‘আববাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫১৩]

আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্যার এর কোনো গুনাহ হবেনা।
আর উক্ত মেয়ে শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শরীয়তের মাসয়ালা হলো যদি স্যারের প্রতি তার আকৃষ্ট হবার শংকা থাকে,তাহলে তার জন্য এ ক্লাশে অংশগ্রহন  জায়েজ নয়।
তবে স্যারের প্রতি আকৃষ্ট হবার শংকা না থাকলে এ ক্লাশে অংশগ্রহন  জায়েজ আছে।
,
আর যদি যিনি পড়াচ্ছেনে তিনি যদি মহিলা হোন,আর  
শিক্ষার্থী গায়রে মাহরাম পুরুষ হয়,তাহলে মহিলাদের কণ্ঠ যেহেতু সতরের অন্তর্ভুক্ত, তাই এ ক্লাশে অংশগ্রহণ জায়েজ নেই।
,
উক্ত মহিলা শিক্ষিকার গুনাহ হবে।
,
নারীকন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত কি না? 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 
,
(০৩)
পুরুষ শিক্ষক হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো গুনাহ হবেনা।
মহিলা শিক্ষিকা হলে যেহেতু এতে গায়রে মাহরাম পুরুষরাও সেই ক্লাশ দেখবে, তাই সেই গুনাহের কারনে 
প্রতিষ্ঠানের কোনো গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...