আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
805 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

রোজা থাকা অবস্থায় কি মাথায় তেল দেওয়া যাবে?কারণ মাথায় তেল দিলে চুলের গোড়ার ভিতর দিয়ে তেল মাথার ভিতরে ঢুকে যায়।এতে কি আমার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে?রোজা থাকা অবস্থায় কোনো কিছু গন্ধ নাকে গ্রহণ করলে কি কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় মাথায় তৈল দেওয়া যাবে। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ قَتَادَةَ: «يُسْتَحَبُّ لِلصَّائِمِ أَنْ يَدَّهِنَ حَتَّى تَذْهَبَ عَنْهُ غُبْرَةُ الصَّائِمِ»

হযরত কাতাদাহ রা. বলেন,‘রোযাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩, হাদীস নং-৭৯১২]

وَمَا يَدْخُلُ مِنْ مَسَامِّ الْبَدَنِ مِنْ الدُّهْنِ لَا يُفْطِرُ هَكَذَا فِي شَرْحِ الْمَجْمَعِ.(الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، النوع الاول مايوجب القضاء دون الكفارة-1/203
সারমর্মঃ
শরীরের ছিদ্র,লোমকূপের ভিতরে যাহা কিছু প্রবেশ করবে,তৈল জাতীয়,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।  

,
(০২)
রোজা থাকা অবস্থায় কোনো কিছুর গন্ধ নাকে গ্রহণ করলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা।

রোযাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ নয়।
আতা রাহ. বলেন, ‘রোযাদারের জন্য সুরমা ব্যবহার করাতে দোষ নেই।’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/২০৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮০)

রমজান মাসে দিনের বেলা মশার কয়েল, ধূপ, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানো জায়েয। এতে রোজার ক্ষতি হবে না। কারণ ধূপ, কয়েল, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানোর পর আশপাশে সাধারণত এর ঘ্রাণই ছড়ায়। এর ধোঁয়া নাক পর্যন্ত পৌঁছে না। এরপরও অনিচ্ছাকৃত তা নাকে-মুখে চলে গেলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা অবস্থায় কেউ যদি নাক বা মুখ দিয়ে এগুলোর ধোঁয়া টেনে নেয় সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। [রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; আশশুরুনবুলালিয়া ১/২০২; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬১; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৫০)

لو أدخل حلقہ الدخان أي بأي صورة کان الإدخال حتی لو تبخر بخورة وآواہ إلی نفسہ واشتمہ ذاکرًا لصومہ، أفطر لإمکان التحرز عنہ․ (رد المختار: ۳/۳۶۶، زکریا)
সারমর্মঃ
যদি ইচ্ছাপূর্বক রোযা স্বরন থাকা সত্ত্বেও এ ধোয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 60391 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 239 views
...