আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
অনেক আগে এক মহিলার  স্বামী  এরূপ  বলেছিল,যদি এই কাজটা  কর তাহলে তালাক দিয়ে দিবো  অথবা তালাক।

অনেকদিন  হয়ে যাওয়ায় এখন আর মনে করা সম্ভব  হচ্ছে না স্বামী  আসলে কি বলেছিল তালাক দিয়ে দিবো,  নাকি তালাক।

উল্লেখ স্ত্রী ঐ কাজটি  করেছিল, তবে স্বামীর অনুমতি  নিয়েই  করেছিল।

এখন তাদের করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাককে নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
★শর্ত যুক্ত তালাক দিলে শর্ত পাওয়া গেলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।   

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وَزَوَالُ الْمِلْكِ بَعْدَ الْيَمِينِ بِأَنْ طَلَّقَهَا وَاحِدَةً أَوْ ثِنْتَيْنِ لَا يُبْطِلُهَا فَإِنْ وُجِدَ الشَّرْطُ فِي الْمِلْكِ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ بِأَنْ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: إنْ دَخَلْت الدَّارَ فَأَنْت طَالِقٌ فَدَخَلَتْ وَهِيَ امْرَأَتُهُ وَقَعَ الطَّلَاقُ وَلَمْ تَبْقَ الْيَمِينُ وَإِنْ وُجِدَ فِي غَيْرِ الْمِلْكِ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ بِأَنْ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: إنْ دَخَلْت الدَّارَ فَأَنْت طَالِقٌ فَطَلَّقَهَا قَبْلَ وُجُودِ الشَّرْطِ وَمَضَتْ الْعِدَّةُ ثُمَّ دَخَلَتْ الدَّارَ تَنْحَلُّ الْيَمِينُ وَلَمْ يَقَعْ شَيْءٌ كَذَا فِي الْكَافِي.

শর্তের সাথে তালাক প্রদাণের পর যদি স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তৃত্ব ছুটে যায়,যেমন শর্তের সাথে তালাক প্রদাণের পর স্বামী যদি স্ত্রীকে এক তালাক বা দুই তালাক দিয়ে দেয়,অতঃপর উক্ত স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকাবস্থায় যদি শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে শর্ত অনুযায়ী তালাক পতিত হবে।যেমন কেউ একজন তার স্ত্রীকে বলল,যদি তুমি ঘরে প্রবেশ করো,তাহলে তুমি তালাক।ঐ মহিলা উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী থাকাবস্থায় ঘরে প্রবেশ করল,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে,এবং শর্তও নিঃশেষ হয়ে যাবে।

আর যদি স্ত্রী না থাকাবস্থায় ঐ শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে শর্ত নিঃশেষ হয়ে যাবে,তবে তালাক পতিত হবে না।যেমন কেউ তার স্ত্রীকে বলল,তুমি যদি ঐ ঘরে প্রবেশ করো তাহলে তালাক।অতঃপর ঐ ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করল,এবং ইদ্দতও শেষ হয়ে গেল।অতঃপর ঐ মহিলা সেই ঘরে প্রবেশ করল,তাহলে শর্ত নিঃশেষ হয়ে যাবে ঠিকই,কিন্তু তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৬)

আরো জানুনঃ 


وإذا أضافه إلى الشرط وقع عقيب الشرط اتفاقا (الفتاوى الهندية، قديم-1/420، جديد-1/488، هداية-2/385)
সারমর্মঃ  
যদি তালাককে শর্তের সাথে সম্পৃক্ত করে,শর্ত পাওয়া গেলে সর্ব সম্মতিক্রমে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    

وإذا أضافہ إلی الشرط وقع عقیب الشرط مثل أن یقول لامرأتہ: إن دخلت الدار فأنت طالق۔ (الہدایۃ ۲؍۳۸۵، الفتاویٰ الہندیۃ / الفصل الثالث، باب تعلیق الطلاق بکلمہ إن الخ ۱؍۴۲۰ زکریا)
সারমর্মঃ
 যদি তালাককে কোনো শর্তের সাথে সম্পৃক্ত করে,শর্ত পাওয়া গেলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    

فإن وجد الشرط في الملک انحلت الیمین، بأن قال لامرأتہ: إن دخلت الدار فأنت طالق وقد دخلت، وہي امرأتہ وقع الطلاق ولم تبق الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍ ۴۱۶ زکریا)
সারমর্মঃ 
কেহ যদি বলে যে যদি ঘরে প্রবেশ করো,তাহলে তালাক,তাহলে স্ত্রী প্রবেশ করলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
তালাক দিবো বললে এটি ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়,এতে তালাক হয়না।
কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ মহিলার স্বামী ""তালাক দিয়ে দিবো নাকি তালাক"" কোন শব্দ বলেছিলো, এই ব্যাপারে সন্দিহান।
,
তাই সতর্কতা মূলক সেটাকে এক তালাকে বায়েন ধরে নতুন করে বিবাহ পড়ে নিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...