আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,881 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)
বাসায় বিয়ের চাপ,যে জায়গায় কথা হচ্ছিলো ওটা হারাম সম্পর্কের ছিলো৷ ওরা খুব একটা আগাচ্ছে না৷ বার বার বিয়ের তারিখ পিছাচ্ছিলো৷  এখন(আর্থিক) নানান সমস্যায় কি করবে বুঝতেসেনা৷ আর আমি তার সংগে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি,যেহেতু হারাম সম্পর্ক৷
এখন তারা আগাচ্ছেনা দেখে বাসায় অন্য দিকে দেখতে জোরজবরদস্তি করতেসে৷ আমি মতামত হিসেবে না করেছি৷ আমার আসলে আর কোনো দিকে বিয়ে করার ইচ্ছা নেই,আর আমিতো হারাম সম্পর্কেও নেই৷ তাহলে বিয়ে না করলে কি গুনাহ হবে আমার? বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (708,160 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2276

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অবস্থাভেদে বিয়ে করা ফরয,ওয়াজিব,সুন্নত ও হারাম হয়। তাই আপনি পূর্বের হারাম রিলেশনের জন্য মহন রব্বে কারীমের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, এবং অতি সত্তর বিয়ে করে নিবেন, চায় পূর্বের আলাপকৃত স্থানে হোক বা নতুন কোনো স্থানে হোক। যেখানেই আপানর পছন্দ হবে,সেখানেই আপনি বিয়ে করে নিবেন। বিয়ে না করলে যে গোনাহ হবে বিষয়টা মূলত এমন নয়, তবে বিয়ে না করে হারামে পতিত হলে অবশ্যই গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি একজন ছাত্র।একজনের সহিত দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে আছি।এখন এইডা ভূল জানার পর জীনা হওয়ার ভয়ে আমরা নিজেরা বিয়ে করতে চাচ্ছি। পরিবারকে আমি স্বাবলম্বী হওয়ার পর জানাতে চাচ্ছি।এখন কিভাবে বিয়ে করলে তা বৈধ হবে? 
বা এখন আমাদের করণীয় কি?
by (708,160 points)
আপনাদের জন্য ওয়াজিব হচ্ছে, এ হারাম সম্পর্ককে তাৎক্ষনিক ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করা এবং ক্ষমা চাওয়া । এবং পরিবারের সম্মতিতে দ্রুত বিয়ে করা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...