আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।কিছু প্রশ্ন-

১.এক বোন হলে থেকে পড়াশুনা করেন।তিনি নিজস্ব বাসস্থান (বাড়ি)থেকে কসর দূরত্ব হয় এমন জায়গায় হল হতে বেড়াতে যাবেন।কিন্তু উক্ত বেড়ানোর জায়গা হল হতে কসর পরিমান দূরত্বের নয়।তাহলে বেড়াতে গিয়ে কি তিনি কসর পড়বেন নাকি পুরো নামাজ পড়বেন?

২.যদি সফরের নিয়তে কসর পরিমান দূরত্বের জন্য বের হয়া হয় কিন্তু কতদিন সফর করব,১৪ দিনের বেশি সময় থাকবে কিনা বা কতদিন থাকবেন নিশ্চয়তা নেই,তাহলে কি কসর নামাজ পড়তে হবে?

৩.আড়ং এ চাকরি করেন এমন বোনের নিকট হতে অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করা যাবে কি না?(উক্ত মেয়ে অনলাইন ব্যাবসা করেন)

৪."ইসলামী জিন্দেগী" এপে বিভিন্ন নামাজের সময় অনেক সময় পর্যন্ত থাকে।যেমন যোহর প্রায় ১২ '১ থেকে ৪ টার পর আরো কিছু সময় পর্যন্ত দেয়া।এটা ঠিকাছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429


মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।

তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়,তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে।এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা যাবে না।বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ।সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭)তবে পড়ে নেয়াটা-ই উত্তম।কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন।(তিরমিযি-১/৭২)

(১) হল ইকামত স্থল অর্থাৎ সাময়িক বসস্থান। আর সাময়িক বাসস্থানের হুকুম হল, যখন কেউ সাময়িক বাসস্থান থেকে সফর শুরু করবে, তখন তার ঐ ইকামত স্থল বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং এখন নিজ বাড়ি থেকে সফর সমপরিমাণ জায়গা যদি সে সফর করে, তাহলে সে মুসাফির হিসেবে গন্য হবে। 

(২) জ্বী,এমতাবস্থায় সে কসর পড়বে। 

(৩) আড়ং এ চাকরি করেন এমন বোনের নিকট হতে অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করা যাবে ।

(৪)সবচেয়ে নিরাপদ হল, ইসামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারকে সংগ্রহে রাখা। সুতরাং সংগ্রহে রাখবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 614 views
...