বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নামাজের মধ্যে গলা দিয়ে ঢেকুর দিলে নামাজ বা ওজু ভঙ্গ হবে না।
(২)
এ যাবৎকাল আপনি অনেক কষ্ট করে নামায ইবাদত করেছন।আল্লাহ আপনার ইবাদতকে কবুল করুক।আমীন।
আপনি এক কাজ করবেন।
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক বায়ু নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি আপনি বায়ু নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।এভাবে যে,যখনই মনে বায়ু নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনিদেখবেন যে,সত্যিই কি বায়ু নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযে যখনই ওজু চলে যাবে,তখন আবার ওজু করে নামাযকে পড়তে হবে। প্রয়োজনে আপনি চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারবেন। চেয়ারে বসে নামায পড়লে বায়ু নির্গত হওয়ার তেমন চাপ পরিলক্ষিত হয় না।