ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বামীর উপর ওয়াজিব যে,সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ করবে।
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।(সূরা নিসা-৩৪)
لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে।(সূরা তালাক-৭)
হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)
স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5139
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী মাদকতা থেকে ফিরে আসলে উক্ত স্বামীর থেকে তালাক গ্রহণ করার অধিকার স্ত্রীর থাকবে।
(২)
সৌদিআরবে কাজের জন্য মহিলাদের গমন যদি মহরাম সহ হয়, এবং তথায় পর্দা সম্মত কাজ পাওয়া যায়, তাহলে জায়েয়। নতুবা কখনো তা জায়েয় হবে না।
(৩)মাদকাসক্ত বাবার সাথে একজন মেয়ের আচরণ উত্তম হওয়া চাই। হেকমতের সাথে বাবাকে মাদকতা থেকে ফিরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
(৪)
কোনো পিতা যদি তার মায়ের সাথে খারাপ আচরন করে সেক্ষেত্রে মেয়ের আচরন বাবার প্রতি খারাপ হতে পারবে না।
(৫)
যেই বাবা মেয়ের কোনো দায়িত্বই পালন করে না তার সাথেও মেয়ের সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিৎ।
(৬)মাদকাসক্ত পিতা বা স্বামির সাথে কি সম্পর্ক না রাখলে গুনাহ হবে না।
(৭)বাবা মায়ের অসান্তির কারনে সন্তানের উপর যে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয় , সেটা থেকে বের হয়ে আসার উত্তম রাস্তা হল, আল্লাহর কাছে দুআ করা ।এবং বাবা মায়ের মধ্যকার মহব্বত সৃষ্টি করার যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা ।