আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
582 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
edited by

"আল্লাহ"পাক এর নাম নেয়ার সময়,,

লাম কে পুর না করে মানে "ল" এর জায়গায় লা দিয়ে পড়লে পড়া শুদ্দ্ব হবে কি?

আর আমরা যখন মাত্তৃভাষায় কথা বলার সময়

তখন উদাহরন স্বরুপ " আল্লাহ সবচেয়ে বড়"
তখন আমরা সিলেটি ভাষা
নাম্বার ১: আল্লাহ শব্দের লাস্টে 'হ' বলি না। যেমন "আল্লা সবচেয়ে বড়" বলি।

অথবা "আল্লাহর ধন আছে" বলার সময় "সিলেটি ভাষায় "আল্লার ধন আছে"  বলি

নাম্বার ২ : লাম পুর 'ল' না করে 'লা' এর মত পড়ি
প্রশ্ন হলো; তিলাওয়াত এর সময় আল্লাহ শব্দের লাম পুর 'ল' এর মত না পরে 'লা' এর মত পড়লে অর্থের বিকৃতি হবে কি?

প্রশ্ন২: যখন স্বাভাবিক ভাবে নিজের ভাষায় বলব তখন 'আল্লা' বললে কোনো সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। 
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,
 ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺫﻟﻚ ﻣﻨﻬﻴّﺎً ﻋﻨﻪ ؛ ﻷﻥ ﺫﻟﻚ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ ﺗﺮﺟﻤﺔ ﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ، ﻭﺁﻳﺎﺗﻪ ﺑﻠﻐﺔ ﺃﺧﺮﻯ ﻟﻴﻔﻬﻢ ﺃﻫﻞ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻐﺔ ﻣﻌﺎﻧﻲ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰ ، ﺑﻞ ﻣﺴﺘﺤﺐ ﺃﺣﻴﺎﻧﺎً ، ﺑﻞ ﻭﺍﺟﺐ ﺃﺣﻴﺎﻧﺎً ... ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﺒﻴَّﻦ ﻟﻬﻢ ﻫﻲ ﻣﻌﺎﻧﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ، ﺗﺸﺒﻪ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﻐﻴﺮ ﺍﻟﻌﺮﺑﻴﺔ ، ﻭﻫﺬﻩ ﺍﻟﺘﺮﺟﻤﺔ ﺗﺠﻮﺯ ﻹﻓﻬﺎﻡ ﺍﻟﻤﺨﺎﻃﺐ ﺑﻼ ﻧﺰﺍﻉ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ".
ﺍﻧﺘﻬﻰ ـ ﻣﺨﺘﺼﺮﺍ ـ ﻣﻦ : " ﺑﻴﺎﻥ ﺗﻠﺒﻴﺲ ﺍﻟﺠﻬﻤﻴﺔ " ( 2 / 389 )
আল্লাহ তা'আলার নামকে ভাষান্তর করা নিষিদ্ধ হবে না,কেননা এটা আল্লাহ তা'আলার নামের তরজমা মাত্র, যাতে করে অন্য ভাষার লোকজন সহজে আল্লাহ তা'আলাকে চিনতে ও বুঝতে পারে,এটা জায়েয এবং কখনো কখনো মুস্তাহাব বা ওয়াজিব হয়,যখন কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে সঠিক অর্থ প্রকাশ করা হবে।এটা অন্য ভায়ায় কোরআন তরজমার মত,আর অন্যভাষায় কোরআন তরজমা সমস্ত উলামায়ে কেরামদের কাছে মতবিরোধ ব্যতীত বৈধ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/511 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আল্লাহ শব্দরে উচ্চারণের সময় শেষে হা উচ্ছারণ করতে হবে। নয়তো ভুল উচ্ছারণ হবে। এজন্য স্থানীয় কোনো ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে বিষয়টা বুঝে নিতে হবে। এবং উচ্ছারণ শিখে নিতে হবে। 
(২) লামকে পুর করে ল এর মত পড়তে হবে। নয়তো তাবজীদের কায়দার খেলাফ হবে। তবে অর্থ বিকৃত হবে না। 
(৩) না, আল্লা বলা যাবে না, বরং আল্লাহ বলতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...