ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে। সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে, তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি? সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭)
যেহেতু ইগলু আইস্ক্রিমে কোড E 471 দেয়া আছে।এবং তাতে লেখা আছে যে এই ফ্যাট উদ্ভিদ থেকে তৈরী করা হয়েছে।সুতরাং তাদের উক্ত ব্যখ্যাকে গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রচলিত রয়েছে যে,ই কোড সম্ভলিত খাবারে শুকরের চর্বি থাকে।কিন্তু গোগলে সার্চ দিলে দেখা যায় যে, অনেক ই-কোড খাবার এমনও রেয়েছে,যাতে শুকরের চর্বি নেই। বরং উদ্ভিদ ও ফলমূল থেকে তৈরীকৃত ফ্যাট তাতে বিদ্যমান রয়েছে।সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না,ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ই-কোড লিখা হালাল ফ্যাটের ব্যাখা সম্ভলিত খাবার গ্রহণ করা যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাসবুহ অর্থ মুবাহ তথা খাওয়া যাবে। তাতে এনিম্যাল ফ্যাট রয়েছে কি না? সেটা আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে বুঝবেন। প্রয়োজনে তাদেরকে মেইল করে জেনে নিতে পারেন।
(২)
যদি এমন হয়, যে আপনি মা’যুর নন, তাহলে আপনি প্রয়োজনে হলেও বারংবার অজু করে নামায পড়তে হবে। যদি বেশী ব্যস্ততার কারণে ধৌত করার সময় না পান, তাহলে দিনের মধ্যে যখনই সময় পাবেন, তখনই উক্ত নামায গুলোকে আবার দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন। টিস্যু ইত্যাদিকে রাখতে পারেন, তবে বন্ধ করার জন্য রাখতে পারবেন না। যদি টিস্যু ভিজে যায়, তাহলে তখন, আপনার অজু চলে যাবে।
(৩)
দশ দিনের অতিরিক্ত মাসিক হলে,এই দশ দিনের অতিরিক্ত রক্তপাত-কে ইস্তেহাযা বলা হয়ে থাকে।ইস্তেহাযার হুকুম হল,নামায রোযা করতে হবে।প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য এক অজুই যথেষ্ট হবে।
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ হল,তিন দিন। মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/9821