আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
592 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

১। নর স্যুপ, পোলার আইসক্রিম খাওয়া জায়েজ কি?  নর স্যুপে কোড E631,পোলার আইসক্রিমে E631,E635 লিখা। Google এ  সার্চ দিলে দেখায় E631 মাসবুহ। মাসবুহ টার্মটা ভালো করে বুঝি না । আর E635 কোন কোন জায়গায়  হারাম  বলা যদি এনিমেল ফ্যাট হয় তা না হলে হারাম না।।।আমরা কিভাবে বুঝবো এনিমেল ফ্যাট  আছে কিনা!নর স্যুপ থাইল্যান্ডের।
২।হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদাস্রাব যদি বাইরে না বের হয়ে আসে তাহলে তো অযু ভাঙবে না,তাই না উস্তায ?   কারো যদি লিউকোরিয়া অনেক বেশি হয় কিন্তু মাযুর না কিন্তু এক সালাতেই অনেক টাইম লেগে যায় বার বার অযু নষ্টের কারণে। সেক্ষেত্রে  কি টিস্যু ভাঁজ করে ভিতরে রেখে ডিসচার্জের ফ্লো যদি বন্ধ  করে রাখা হয় ,তাহলে কি অযু ভেঙে যাবে? যেহেতু টিস্যু রাখার জন্য সাদাস্রাব হলেও বাইরে বের হচ্ছে না, লাগলে সর্বোচ্চ টিস্যুতেই লাগছে।
৩।কারো যদি ১৫তম দিনে হায়েজ হয় ,নরমালি ১৫/১৬/১৭ দিনে হয়।।তাহলে কি ১৫ তম দিনটাকে ইস্তেহাযা ধরতে হবে? যদি ইস্তেহাযা ধরা হয় তাহলে কি ঐইদিন নামাজ কন্টিনিউ করে ১৬ তম দিন থেকে নামাজ বন্ধ করতে হবে নাকি ভালো হওয়ার পর ১৫তম দিনের সালাত কাযা করতে হবে?
জাযাকুমুল্লাহ খইরান কাসীরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/12581 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে। সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে, তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি? সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭)

যেহেতু ইগলু আইস্ক্রিমে কোড E 471 দেয়া আছে।এবং তাতে লেখা আছে যে এই ফ্যাট উদ্ভিদ থেকে তৈরী করা হয়েছে।সুতরাং তাদের উক্ত ব্যখ্যাকে গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রচলিত রয়েছে যে,ই কোড সম্ভলিত খাবারে শুকরের চর্বি থাকে।কিন্তু গোগলে সার্চ দিলে দেখা যায় যে, অনেক ই-কোড খাবার এমনও রেয়েছে,যাতে শুকরের চর্বি নেই। বরং উদ্ভিদ ও ফলমূল থেকে তৈরীকৃত ফ্যাট তাতে বিদ্যমান রয়েছে।সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না,ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ই-কোড লিখা হালাল ফ্যাটের ব্যাখা সম্ভলিত খাবার গ্রহণ করা যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাসবুহ অর্থ মুবাহ তথা খাওয়া যাবে। তাতে এনিম্যাল ফ্যাট রয়েছে কি না? সেটা আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে বুঝবেন। প্রয়োজনে তাদেরকে মেইল করে জেনে নিতে পারেন। 

(২)
যদি এমন হয়, যে আপনি মা’যুর নন, তাহলে আপনি প্রয়োজনে হলেও বারংবার অজু করে নামায পড়তে হবে। যদি বেশী ব্যস্ততার কারণে ধৌত করার সময় না পান, তাহলে দিনের মধ্যে যখনই সময় পাবেন, তখনই উক্ত নামায গুলোকে আবার দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন। টিস্যু ইত্যাদিকে রাখতে পারেন, তবে বন্ধ করার জন্য রাখতে পারবেন না। যদি টিস্যু ভিজে যায়, তাহলে তখন, আপনার অজু চলে যাবে। 

(৩)
দশ দিনের অতিরিক্ত মাসিক হলে,এই দশ দিনের অতিরিক্ত রক্তপাত-কে ইস্তেহাযা বলা হয়ে থাকে।ইস্তেহাযার হুকুম হল,নামায রোযা করতে হবে।প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য এক অজুই যথেষ্ট হবে।
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ হল,তিন দিন। মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9821


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
উস্তায, সাদাস্রাব বাইরে বের না হলে তো অযু ভাঙবে না, তাই না? যদি হয়ে ভিতরেই থাকে তাহলে তো সমস্যা নেই কোনো নাকি তবুও অযু ভাঙবে? 
by (597,330 points)
ভিতরে থাকলে অজু ভঙ্গ হবে না। তবে কোনো কাপড় ইত্যাদি দ্বারা আটকিয়ে রাখলে তখন অজু ভেঙ্গে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...