আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
450 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ্।  একজন ব্যক্তি সময় পায় না অথবা দেখা হারাম হবে এই বিবেচনায় ক্রিকেট/ফুটবল খেলা দেখেন না।  কিন্তু তিনি ইউটিউবেে খেলার হাইলাইটস দেখেন। তার কাজটি কি শরীয়ত সমর্থন করে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩) 

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)

লাহব কাকে বলে?
اللهو: ما يشغل الإنسان عما يعنيه و يهمه (مفردات القرآن للإمام الراغب)
অর্থাৎ-যে সকল বস্তু মানুষকে লক্ষণীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী থেকে অমনোযোগী করে দেয় তা হলো "লাহব"।

اللعب :لعب فلان اذا كان فعله غير قاصد به مقصدا صحيحا 
অর্থাৎ- খেলাধুলা ঐ সকল কাজ যাতে সঠিক কোন উদ্দেশ্য থাকে না।
اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।(কুরতুবি:১৩/৮০)

উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে।খেলাধুলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/673

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো ইবাদত করার পর শরীর বা মনে ক্লান্তি অনুভব করলে, উক্ত ক্লান্তিকে দূর করে মনযোগ সহকারে পরবর্তী ইবাদত করার স্বার্থে বৈধ খেলার অনুমোদন শরীয়তে রয়েছে। নিছক টাইমপাসের স্বার্থে কোনো খেলার অনুমোদন শরীয়তে নেই। সুতরাং অযথা সময় কাটানোর জন্য খেলার হাইলাইট দেখার কোনো অুনমোদন শরীয়তে নাই। হ্যা ইবাদতের জন্য মনকে প্রফুল্ল রাখতে খেলার হাইলাইট দেখে নিলে সেটা রুখসতযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
আসসালা-মু ‘আলাইকুম 
শায়েখ,  এইটা জায়েজ আছে এই ফতওয়া কখনো দেওয়া উচিৎ নয় বিশেষ করে এই জামানায়।
এইভাবে বলে দেওয়া উচিৎ দেখবেন না।
এটা কি করে মেনে নেওয়া যায় যে এরা ইবাদতের জন্য মনকে প্রফুল্ল করা বুঝবে? বরং আরও শয়তানের ধোকায় পড়ে হারাম এ লিপ্ত হয়ে যেতে পারে,একসময় দ্বীন থেকে ছুটে যাবে।।  হ্যাঁ শুধু কিছু মানুষ এইসব বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখে যারা তাক্বওয়াবান। যার সংখ্যা একেবারেই একেবারেই কম।
এরা আলেম না,এদের আশে পাশে ১ জন ও জ্ঞানী পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ।
 অনেক সমস্যা আছে এতে, আপনি গভীর ভাবে ভাবলে এটা বুঝতে পারবেব!! ইং- শা- আল্ল- হ 
by (597,330 points)
জ্বী, জাযাকাল্লাহ। শব্দ চয়নে আরো একটু সংশোধন নিয়ে এসেছি....

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...