আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,
কেউ যদি এত বেশি জুলম করে যে ক্ষমা করা সম্ভব হয় না যেমন উদাহরণস্বরূপ. .  .
আত্মীয়ের খুনিদের যদি বিচার না হয়, ওল্টো তারা জুলম করে

 বসে, সে ক্ষেত্রে কি তাদের জন্য মনেে অভিশাপ আসলে কি
দেয়া যাবে, বা তাদের শাস্তি/ধ্বংসের দুয়া করা যায় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

আমরা অনেকে যখন তখন মানুষকে অভিশাপ দেই। গালাগাল করি। তার ধ্বংস কামনা করি। নিজের অপছন্দের লোকের প্রতি আল্লাহর গজব নেমে আসার অপেক্ষা করি। তার মৃত্যু কামনা করি। ইসলামের দৃষ্টিতে এসব কাজ অনুচিত। অভিশাপ দেওয়া যে কত ভয়াবহ তা হাদিস শরিফের কিতাবগুলো থেকে ভালোভাবে বুঝে আসে। যাকে অভিশাপ দেওয়া হচ্ছে সে যদি অভিশাপের উপযুক্ত না হয় তাহলে যিনি দিলেন তার ওপরই অভিশাপ নেমে আসবে। হজরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যখন বান্দা কোনো কিছুর ওপর অভিসম্পাত করে তখন সে অভিসম্পাত বাক্যটি আসমানের দিকে উড়ে যায়; কিন্তু এর জন্য আসমানের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর তা জমিনের দিকে ফিরে আসে এবং জমিনের দরজাগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতঃপর তা ডানদিকে যায় এবং বামদিকে যায়। আর যখন এভাবে কোনো দিকেই স্থান না পায় তখন তার দিকে ফিরে আসে যার ওপর অভিসম্পাত করা হয়েছে। যদি সে অভিসম্পাতের উপযোগী না হয় তাহলে খোদ অভিসম্পাতকারীর দিকেই তা প্রত্যাবর্তন করে (আবু দাউদ)। হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা একে অপরে এভাবে অভিসম্পাত করবে না যে, তোমার ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, আল্লাহর গজব পতিত হোক এবং তুমি দোজখি হও। এভাবে বদদোয়াও করবে না। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, তোমাকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হোক। এরূপ বলেও বদদোয়া করবে না (তিরমিজি, আবু দাউদ)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমানদার ব্যক্তি কখনো অভিসম্পাতকারী, অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী এবং গালমন্দকারী এবং লজ্জাহীন হতে পারে না। তিরমিজি, বায়হাকি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। একদা বায়ু এক ব্যক্তির চাদর উড়িয়ে নিল। তখন সে ব্যক্তি বায়ুকে অভিসম্পাত করল। তা শুনে রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বায়ুকে অভিসম্পাত করিও না, কেননা তা তো (আল্লাহর) আদিষ্ট। বস্তুত যে ব্যক্তি এরূপ কোনো কিছুকে অভিসম্পাত করল যা অভিসম্পাতের উপযোগী নয়, তখন ওই অভিসম্পাত তার নিজের ওপরই ফিরে আসবে (তিরমিজি, আবু দাউদ)। নবী (সা.) নিজেও এমন কথা শুনতে চাইতেন না যেখানে একে অন্যের বিরুদ্ধে গালমন্দ বা অভিশাপ রয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমার সাহাবিদের মধ্যে কেউ কারও কোনো খারাপ বিষয় আমাকে জানাবে না। কেননা আমি এটাই পছন্দ করি যে, আমি তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় উপস্থিত হই, তখন আমার অন্তর প্রশান্ত এবং স্বচ্ছ থাকবে। (আবু দাউদ)।  মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে অভিশাপ দেওয়া থেকে হেফাজত করুন। আমিন।(সংগৃহিত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জুলুমকারী সীমা ছাড়িয়ে গেলে তাকে বদদুআ দেওয়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...