বান্দা গোনাহ করার পর যখন সে তাওবাহ করে নেয়,তখন আল্লাহ তা'আলা তার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন,এমনকি তার গোনাহকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻟَﻬًﺎ ﺁﺧَﺮَ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻘْﺘُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺰْﻧُﻮﻥَ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻔْﻌَﻞْ ﺫَﻟِﻚَ ﻳَﻠْﻖَ ﺃَﺛَﺎﻣًﺎ
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।
ﻳُﻀَﺎﻋَﻒْ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻳَﺨْﻠُﺪْ ﻓِﻴﻪِ ﻣُﻬَﺎﻧًﺎ
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﻦ ﺗَﺎﺏَ ﻭَﺁﻣَﻦَ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻓَﺄُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻳُﺒَﺪِّﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺗِﻬِﻢْ ﺣَﺴَﻨَﺎﺕٍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
ﻭَﻣَﻦ ﺗَﺎﺏَ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻳَﺘُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﺘَﺎﺑًﺎ
যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
(সূরা ফুরক্বান-৬৮-৭০)
গোনাহ করার পর উক্ত গোনাহকে প্রকাশ না করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাঃ দিয়েছেন।
যেমন-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল।
(সহীহ বুখারী-৬০৬৯
সহীহ মুসলিম-২৯৯০)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি কেহ তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহ গুলোর জন্য শাস্তি দিবেননা।
.
তওবার পদ্ধতি শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
সুতরাং আপনিও সে সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে তওবা করলে এবং সেই গুনাহ পরিপূর্ণ ভাবে ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।
,
(০২)
স্বামীকে তার স্ত্রী পূর্বের কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না। যদি স্বামীকে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে। তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।
যেমন- স্বামী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্রী/পাত্রীপক্ষ যদি বিয়ের আগে বা পরে জানতে চায় যে, আপনার বিবাহের পূর্বে কোনো অবৈধ সম্পর্ক ছিলো কিনা, তাহলে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে জবাব দিবেন।