আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
এমন কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলো সবাইকে জানানো খারাপ দেখায়। যদি পরিচিত কেউ দেখে ফেলে এই ভয়ে। তাই এখানে যদি কেউ কোনো ছদ্ম/নকল নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে তবে কি তার গুনাহ হবে? অথবা আপনাদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে? এটা কি মিথ্যাচার? প্রয়োজনে তো ফেসবুকে ও অনেকে ফেকই আইডি খুলে। বা সব তথ্য ঠিক রাখলেও অন্য নাম দেয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।

এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ 
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-৬৪৭

সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।তবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2171

তাই বলা যায় যে,
কাউকে ঠকানো বা ধোঁকা দেয়ার নিয়তে নাম গোপন করে প্রুফাইল বানানো বা ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না। তবে ধোঁকা দেওয়া ব্যতীত ভিন্ন কোনো কারণে নাম লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।

‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযি.) হতে বর্ণিতو[রাবী আ‘মাশ (রহ.) বলেন,] আমি ইবরাহীম (রহ.)-এর সাথে এ হাদীসের আলোচনা করলে তিনি আবূ ‘উবায়দাহ সূত্রে ‘আমর ইবনু হারিস (রাঃ)-এর মাধ্যমে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযি.) হতে হুবহু বর্ণনা করেন। 
 عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ قَالَ فَذَكَرْتُهُ لإِ÷بْرَاهِيمَ ح فَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ بِمِثْلِهِ سَوَاءً قَالَتْ كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ وَكَانَتْ زَيْنَبُ تُنْفِقُ عَلَى عَبْدِ اللهِ وَأَيْتَامٍ فِي حَجْرِهَا قَالَ فَقَالَتْ لِعَبْدِ اللهِ سَلْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيَجْزِي عَنِّي أَنْ أُنْفِقَ عَلَيْكَ وَعَلَى أَيْتَامٍ فِي حَجْرِي مِنْ الصَّدَقَةِ فَقَالَ سَلِي أَنْتِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ امْرَأَةً مِنْ الأَنْصَارِ عَلَى الْبَابِ حَاجَتُهَا مِثْلُ حَاجَتِي فَمَرَّ عَلَيْنَا بِلاَلٌ فَقُلْنَا سَلْ النَّبِيَّ أَيَجْزِي عَنِّي أَنْ أُنْفِقَ عَلَى زَوْجِي وَأَيْتَامٍ لِي فِي حَجْرِي وَقُلْنَا لاَ تُخْبِرْ بِنَا فَدَخَلَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ مَنْ هُمَا قَالَ زَيْنَبُ قَالَ أَيُّ الزَّيَانِبِ قَالَ امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ قَالَ نَعَمْ لَهَا أَجْرَانِ أَجْرُ الْقَرَابَةِ وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ
তিনি [যায়নাব (রাযি.)] বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখলাম তিনি বলছেনঃ তোমরা সদাকাহ দাও যদিও তোমাদের অলংকার হতে হয়। যায়নাব (রাযি.) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ও তাঁর পোষ্য ইয়াতীমের প্রতি খরচ করতেন। তখন তিনি ‘আবদুল্লাহকে বললেন, তুমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট জেনে এসো যে, তোমার প্রতি এবং আমার পোষ্য ইয়াতীমদের প্রতি খরচ করলে আমার পক্ষ হতে সদাকাহ আদায় হবে কি? তিনি [ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)] বললেন, বরং তুমিই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে জেনে এসো। এরপর আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গেলাম। তাঁর দরজায় আরো একজন আনসারী মহিলাকে দেখলাম, তার প্রয়োজনও আমার প্রয়োজনের অনুরূপ। তখন বিলাল (রাঃ)-কে আমাদের পাশ দিয়ে যেতে দেখে বললাম, আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে জিজ্ঞেস করুন, স্বামী ও আপন (পোষ্য) ইয়াতীমের প্রতি সদাকাহ করলে কি আমার পক্ষ হতে তা যথেষ্ট হবে? এবং এ কথাও বলেছিলাম যে, আমাদের কথা জানাবেন না। তিনি প্রবেশ করে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারা কে? বিলাল (রাঃ) বললেন, যায়নাব। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ যায়নাব? তিনি উত্তর দিলেন, ‘আবদুল্লাহর স্ত্রী। নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাহু বললেনঃ তার জন্য দু’টি সওয়াব[1] রয়েছে, আত্মীয়কে দেয়ার সওয়াব আর সদাকাহ দেয়ার সওয়াব। (মুসলিম ১২/১৪, হাঃ ১০০০, আহমাদ ১৬০৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৭৮) (সহীহ বোখারী - শামেলা-১৪৬৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 119 views
...