ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রূহ সম্পর্কে
সূরা বনী ইসরাইলের ৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا (85)
“এরা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছে৷ বলে দাও,এ রূহ আমার রবের হুকুমে আসে কিন্তু তোমরা সামান্য জ্ঞানই লাভ করেছো।” (১৭:৮৫)
নবী কারিম (সা.) সবসময়ই জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন এবং তিনি প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিয়ে মানুষের জ্ঞানের চাহিদা মেটাতেন। মুমিনগণও দ্বীনকে সঠিকভাবে জানার জন্যে নবীজীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখতেন। কিন্তু বিরোধীরা অর্থাৎ কাফির মুশরিকরা জনগণের মাঝে দ্বিধা-সন্দেহ জাগিয়ে তোলার জন্যে এবং তাদের মাঝে রাসূলের অবস্থান দুর্বল করার জন্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করত। এই আয়াতে তেমনি একটি প্রশ্নের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছেঃ রূহ সম্পর্কে নবীজীকে প্রশ্ন করা হতো। পবিত্র কুরআনে অন্তত বিশবার ‘রূহ’ শব্দটি তিনটি প্রসঙ্গে এসেছে। প্রথমত ‘রূহ’ হলো সেই অলৌকিক বস্তু যা মানুষের ভেতর ফুঁ দিয়ে প্রাণের সঞ্চার করা হয়। দ্বিতীয়ত ‘রূহ’ শব্দটি ওহীর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আ.) এর প্রসঙ্গে এসেছে। তৃতীয়ত ‘রূহ’ শব্দটি এসেছে স্বয়ং কুরআন এবং আল্লাহর ওহী সম্পর্কে, যেই ওহী রাসূলে খোদার ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল। রূহ অর্থ হলো প্রাণ। আর যে তিনটি প্রসঙ্গে এই ‘রূহ’ শব্দটি এসেছে প্রতিটি প্রসঙ্গই মানুষের জীবন এবং মানব সমাজের প্রাণের উৎস।
প্রশ্নকারীরা রাসূলে খোদাকে মানুষের ‘রূহ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করত যে ‘রুহ’ জিনিসটা আসলে কী বা কেমন? কিংবা প্রশ্ন করত যেই ফেরেশতা কুরআন অবতীর্ণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, সেই ফেরেশতা কীভাবে নবীজীর ওপর ওহী নাযিল করতেন?
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীজীকে বললেনঃ প্রশ্নকারীদের ঐসব প্রশ্নের জবাবে বলুন! ‘রূহ’ বস্তুগত কিংবা অনুভবগ্রাহ্য কোনো জিনিস নয় যে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারবে, বরং রূপ সম্পূর্ণ অবস্তুগত একটি জিনিস যা আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন এবং রূহ বিষয় কী বা কেমন তা তোমাদের উপলব্ধি ক্ষমতার বাইরে। এই বিশ্বভূবনের সত্যাসত্য সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত এবং উপলব্ধি ক্ষমতাও যৎসামান্য। তোমরা ভেব না যে তোমরা সবকিছুই জানো কিংবা জানতে সক্ষম।
এ আয়াত থেকে আমাদের জন্যে শিক্ষণীয় হলোঃ
এক. রূহ হচ্ছে একটি জটিল এবং অজানা অচেনা বিষয়। রূহ ঐশী রহস্যের এমন একটি প্রসঙ্গ যা মানবীয় জ্ঞানের উর্ধ্বে। ( সংগৃহিত)
রুহ দ্বারা আপনি সম্ভবত জান বা প্রাণ বুঝিয়েছেন,
মানুষের যেভাবে প্রাণ রয়েছে, ঠিকতেমনিভাবে পশুপাখীরও প্রাণ রয়েছে। আখেরাতে মানুষকে আবার উত্তোলন করা হবে, তবে পশুপাখীকে আর উত্তোলন করা হবে না। তবে কোনো জীব জানোয়ার মাজুলুম থাকলে তাকে তার প্রাপ্য গ্রহণের জন্য আবার উত্তোলন করা হতে পারে।
(২)
জ্বীন রা সূর্যের রশ্নি থেকে তৈরী, তাই তারা আগুনকে ভয় পায়।