আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
366 views
in সালাত(Prayer) by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু।

১.  টাকনুর নিচের অংশ কি বটে রাখা যাবে?

২. একেক মাঝাবে নামাজ একের রকম কেন?

৩. তারাবীহ কি ৮ রাকার পরা যাবে?

৪. একেক সময় একেক মাজাব অনুসারে নামাজ পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এটি হারাম।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ عَنِ الإِزَارِ، فَقَال: عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِزْرَةُ الْمُسْلِمِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، وَلَا حَرَجَ - أَوْ لَا جُنَاحَ - فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَيْنِ، مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ فَهُوَ فِي النَّارِ، مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ

আল-‘আলা ইবনু আব্দুর রাহমান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-কে লুঙ্গি পরিধানের স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি এ বিষয়ে সম্যক অবগত লোকের কাছেই এসেছো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের পরিধেয় লুঙ্গি-পায়জামা নলার মধ্যভাগ পর্যন্ত থাকবে, তবে টাখনুদ্বয় পর্যন্ত রাখলেও কোনো গুনাহ হবে না। কিন্তু টাখনুদ্বয়ের নীচে গেলে তা জাহান্নামের আগুনে যাবে। যে অহংকারবশত নিজের লুঙ্গি হেঁচড়িয়ে চলে, আল্লাহ তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করবেন না।
(আবু দাউদ ৪০৯৩ ইবনু মাজাহ, মালিক, আহমাদ।)

(০২)
নামাজের ফরজ ওয়াজিবের ক্ষেত্রে সমস্ত মাযহাব প্রায় একই রকম।
,
তবে নামাজের কিছু সুন্নাতের ক্ষেত্রে ইমামদের মাঝে মতবিরোধ  রয়েছে। 
,
(এক্ষেত্রে সকলেই একমত যে সুন্নাত ছেড়ে দিলেও নামাজের কোনো সমস্যা  হবেনা।
নামাজ পূর্ণ  হয়ে যাবে।)
রাসুল সাঃ থেকে হাদীসের ভিন্নতার কারনে ইমামদের মাঝে মতবিরোধ হয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ ইসলামের শুরুর দিকে নামাজের মধ্যে কিছু এমন কাজ করেছেন যেটি জীবনের শেষ দিকে এসে করেননি।
,
উভয় পদ্ধতিরই হাদীস বর্ণিত আছে।

এখন ইমামগন বিভিন্ন দলিলের আলোকে একটি আমলকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর  শেষ আমল সাব্যস্ত করে সেটার উপরে আমল করেছেন।
সেই মতই প্রকাশ করেছেন।
,
তাই নামাজের মধ্যে এই মতবিরোধ । 
,
উদাহরন স্বরুপঃ

★হাত উত্তোলনের মাসয়ালাঃ 
উভয় দিকেই ছহীহ হাদীস আছে।
,
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রঃ)— সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত যে, নাবী (সাঃ) যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয়হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর রুকু’তে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদা ও রাব্বানা অলাকাল হামদ্ বলতেন। কিন্তু সিজদার সময় এরূপ করতেন না। সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৬৯৯
,
মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল(রঃ)—আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয়হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলতেন। তবে সিজদার সময় এরূপ করতেন না। সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৭০০

ইসহাক ওয়াসিতি(রঃ)—আবু কিলাবা(রঃ)হতে বর্ণিত, তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়রিশ(রাঃ)কে দেখেছেন তিনি যখন সালাত আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু’হাত উঠাতেন। আর রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর উভয়হাত উঠাতেন। আবার, যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও তাঁর উভয়হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরূপ করেছেন। সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৭০১,


عن عبد الله قال ألا أخبركم بصلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فقام فرفع يديه أول مرة ثم لم يعد

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি কি রাসূল সাঃ এর নামায সম্পর্কে তোমাদের জানাবো? তারপর তিনি দাঁড়ালেন তারপর দুই হাত উঠালেন প্রথম বার। তারপর আর হাত উঠালেন না। {সুনানে নাসায়ী-১/১৫৮,হাদীস নং-১০২৫}


1572 – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَيُّوبَ الْمُخَرِّمِيُّ، وَسَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ، وَشُعَيْبُ بْنُ عَمْرٍو فِي آخَرِينَ قَالُوا: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا» وَقَالَ بَعْضُهُمْ: حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَا يَرْفَعُهُمَا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَلَا يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ، وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ

হযরত সালেম স্বীয় পিতা ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেন যে,আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি,তিনি নামায যখন শুরু করতেন তখন রফউল ইয়াদাইন করতেন কাঁধ বরাবর। আর যখন রুকু করতে ইচ্ছে করতেন এবং রুকু থেকে মাথা উঠাতেন,তখন তিনি রফউল ইয়াদাইন করতেন না। কতিপয় বর্ণনাকারীগণ বর্ণনা করেন যে,দুই সেজদার মাঝেও রফউল ইয়াদাইন করতেন না। অর্থ একই। [মুসনাদে আবী আওয়ানা-১/৪২৩,হাদীস নং-১৫৭২,তাহকীক-আইমান বিন আরেফ আদদিমাশকী,প্রকাশক-দারুল মা’রিফা,বাইরুত,লেবানন]
হাদীসটি সহীহ।

আসওয়াদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
আমি হযরত ওমর রা.-কে দেখেছি, তিনি শুধু প্রথম তাকবীরের সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন,পরে করতেন না।’ (তাহাবী: ১/১৬৪)
,
(০৩)
তারাবিহ নামাজ ২০ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 
ওযর বশত কখনো কম পড়া যাবে।
,
তবে কম পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ।
,
বিস্তারিত জানুনঃ   
,
(০৪)
এটার বৈধতা নেই।   
,
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...