জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মারা যাওয়ার আগে কোনো সম্পত্তি কাউকে দিলে সেটাকে হেবা বলে।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হেবা পূর্ণ হওয়ার জন্য কবজা তথা হস্তগত হওয়া শর্ত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عثمان وابن عمر وابن عباس رضي اللّٰہ عنہم أنہم قالوا: لا تجوز صدقۃ حتی تقبض۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۴ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত উসমান রাঃ ,ইবনে ওমর রাঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন ছদকাহ জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।
عن معاذ بن جبل وشریح رضي اللّٰہ عنہما أنہما کانا لا یجیزانہا حتی تقبض‘‘ اہـ۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۵ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এবং হযরত শুরাইহ রাঃ হেবার পূর্ণ হওয়ার ইজাযত দেননা কবজা করার আগ পর্যন্ত।
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার দাদা উক্ত সম্পত্তি নিজের হস্তগত করেছিলেন,এবং আপনার দাদা সেই সম্পত্তি সমস্ত ছেলের মেয়ের মাঝে বন্টন করে দেয়,সুতরাং এখানে তারা এর মালিক হয়ে যায়।
সেখানে অন্য কাহারো হস্তক্ষেপ করা জায়েজ নেই।
,
তারপরেও উক্ত সম্পত্তি যেহেতু তার ছেলে তথা আপনার বড় চাচার ছেলে অন্যায় ভাবে হস্তক্ষেপ করে নিজে ব্যবহার করছে,এটি কোনো ভাবেই জায়েজ হয়নি।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবাকে ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়ার জন্য যেই জমি আপনার বাবার নামে কাগজ করে দেওয়া হয়েছে,এখানে তিনি কি বলে গিয়েছিলেন?
,
যদি আপনার দাদা এটা বলে থাকেন যে উক্ত জমি তার ওয়ারিশদের মাঝে শরীয়ত সম্মত পন্থায় ভাগ করে দেওয়ার জন্য,তাহলে আপনার দাদার যে সন্তানেরা বেঁচে আছে,তারাই শুধু সেই সম্পত্তি পাবে।
যিনি মারা গেছেন,তিনি সম্পত্তি পাবেননা,তার সন্তানরাও সম্পত্তি পাবেনা।
,
তাই আপনার উক্ত চাচাতো ভাই কোনো অংশই পাবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
কিন্তু যদি আপনার দাদা সেই চাচাতো ভাইকেও জমি দেওয়ার কথা বলে,তাহলে সে সম্পত্তি পাবে।
,
এক্ষেত্রে তার অংশ যতটুকু হবে,আপনার বাবার সেই জমি থেকে ততটুকু অংশ তাকে না দিলে কোনো গুনাহ হবেনা।