আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)

আসসালামু আলাইকুম,

আমি একজন মেডিকেল টেকনলজিস্ট, আমি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করি। আমাদের এখানে Infertility চিকিৎসাও দেওয়া হয়। সেই ক্ষেত্রে ডঃ গন পুরুষদের Semen Analysis করতে বলে। আর Semen Analysis এর জন্য Semen collection করতে হয় Semen collection এর জন্য মেডিকেল সাইন্স দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করে।

  1. Coitus
  2. Masturbation

আমার প্রশ্ন হল Semen Analysis এর জন্য Masturbation করে Semen collection করা জায়েজ আছে কিনা?

বেশির ভাগ রোগী অনেক দূর থেকে আসে। অনেক দমপতী স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় চলে আসে তখন রোগী Coitus করতে পারে না। আবার ডায়াগনস্টিন সেনটারে এসে স্ত্রীরা সহবাস করতে রাজিও হয়না।

সেই ক্ষেত্রে রোগী Masturbation করে Collection করতে পরবে কিনা এবং মাসিক না হলেও Masturbation করে Semen collection করতে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


জবাব
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)
জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : 
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।

(২)
হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) : 
কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন।
 
(৩)
তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) :
এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। (এই তিন প্রকার একজন দ্বীনী বোনের গবেষনা থেকে কপিকৃত)

প্রথম অবস্থায়  জায়েয।এবং তৃতীয় অবস্থায়  জায়েয হবে না। আর দ্বিতীয় অবস্থায় অধিকাংশ ফুকাহা জায়েয বলে থাকেন।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
টেস্টটিউব বেবী এর সর্বমোট ছয়টি পদ্ধতি হতে পারে।এর মধ্যে কিছু পদ্ধতি জায়েয।এবং কিছু নাজায়েয।

ছয়টি পদ্ধতির দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হল,
(দ্বিতীয় প্রদ্ধতি)
স্বামী-স্ত্রী বহুদিন যাবৎ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, কিন্তু তাদের যেকোনো একজনের বীর্যে ত্রুতি থাকার ধরুণ আপাতত তাদের সন্তান হচ্ছে না।
এমতাবস্থায়  তারা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি 'টেস্টটিউব' এর আশ্রয় নিয়ে উক্ত স্ত্রীর গর্ভে উক্ত স্বামীর বীর্যকে  প্রতিস্থাপন করতে চায়।

শরয়ী হুকুমঃ
এই পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য।যদি স্বামী-স্ত্রী উভয় কর্তৃক উক্ত 'টেস্টটিউব' পদ্ধতি আঞ্জাম দেয়া হয়,এবং এতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা না থাকে,(তথা যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ডাক্তার বা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ থাকেন) তাহলে মাকরুহে তানযিহির সাথে তা জায়েয হবে।

আর যদি তাতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়,এভাবে যে, ঐ ব্যক্তির সামনে গোপন অঙ্গ দেখানো বা স্পর্শ করার জরুরত দেখা দেয়,তাহলে সেটা নাজায়েয ও হারাম হবে।তবে উভয় অবস্থায়ই উক্ত স্বামী থেকে সন্তানের বংশধারা প্রমাণিত হবে।

টেস্টটিউব বেবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৪৪


যেহেতু টেস্টটিউব বেবীর দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে শরীয়ত বিশেষ একটি জরুরত তথা বংশ ধারাবাহিকতাকে রক্ষার নিমিত্তে অনুমোদন দিয়েছে,বিধায় এক্ষেত্রে যদি হস্তমৈথুন ব্যতীত বীর্য বের করার আর কোনো পদ্ধতি না থাকে,তাহলে হস্তমৈথুনেরও অনুমোদন থাকবে।কেননা ফুকাহায়ে কিরামগণের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ মূলনীতি হল 
(১) ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা বা ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।(আল আসবাহ ওয়ান নাযাইর-ইবনে নুজাইম ১/২৭৫)

3871


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
সায়েখ,
যেহুত আমি ল্যাবে কাজ করি আমর জন্য এই উপার্জন হালাল হবে কি না

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...