ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রমজান মাসের রোযা ইসলামের রুকুন সমূহের একটি রুকুন।শরয়ী উযর ব্যতীত মুসলমানের জন্য রোযাকে পরিত্যাগ করা কখনো জায়েয হবে না।যদি কেউ রমজানের কোনো রোযাকে ছেড়ে দেয়,বা শরয়ী উযর যেমনঃ অসুস্থতা,সফর,হায়েয-নেফাস ইত্যাদির কারণে ভেঙ্গে ফেলে তখন উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতে উক্ত রোযাকে কা'যা করা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা বাক্বারা১৮৫)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/2187
আপনি ১৩ বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযার আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন। কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।
আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন। যেমন আপনি স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন। এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।