বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের বীর্য খাওয়া হারাম বা মাকরুহে তাহরিমী।(ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/২১১)
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের সমস্ত অঙ্গ দ্বারা ফায়দা নিতে পারবে।উপভোগ করতে পারবে।কিন্তু একে অপরের লজ্জাস্থানকে মুখে নেওয়া বেহায়াপনা ও চুড়ান্ত পর্যায়ের অশ্লীলতা, বিধায় ফুকাহায়ে কেরাম মাকরুহ বলেছেন।যদি স্ত্রী নিজের যৌন অনুভূতিকে মুখে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে বা যৌন আখাংকায় বেহুশ হয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গকে মুখে নিয়ে নেয়,এক দুইবার হলে মাফ।ঠিক তেমনি স্বামী যৌন আখাংকায় বেহুশ হয়ে যদি স্ত্রীর গোপনাঙ্গকে মুখে নিয়ে নেয়,এক দুই বার হলে মাফ।নিয়মিত অভ্যাস বানিয়ে ফেলা মাকরুহ।বীর্যকে মুখে প্রবেশ করানো যাবে না।এবং গিলে ফেলা মাকরুহে তাহরীমি।(ফাতাওয়ায়য়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৮/৬২৪,জামেউল ফাতাওয়া - ৩/২৩৪,ফাতাওয়ায়ে রাহিমিয়্যাহ-৬/৩৭০)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-খন্দকার মারছুছ সাহেব লিখিত "ফ্যমিলি ম্যানেজমেন্ট",
فى الفتاوى الهندية- إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته قد قيل يكره ، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الثلاثون فى المتفرقات-5/372
ওরাল সেক্স মাকরুহ হওয়ার কয়েকটি কারণ
(১)লজ্জাস্থান Suck করা হলে স্বাভাবিক হলো, লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না। আর নাপাক চুষে ফেলা বা পান করাকে তো বৈধ বলার প্রশ্নই আসে না।
(২) মানুষের শরীরের সবচে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।
(৩) মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান Suck করা বড় গর্হিত কাজ।
(৪) মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।