জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
رُخْصَة ج رُخَص
[রুখ্ছাহ] রুখছত শব্দের অর্থঃ
অনুমতি,অনুমোদন,বৈধতা,অনুমতিপত্র,লাইসেন্স,পারমিট,ছাড়।
,
(০২)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে শরীয়তের বিধান মতে দুনিয়াবী হুকুমে তারা কাফের এর হুকুমেই হবে। তথা মিরাছ বিবাহ কিসাস দিয়ত ইত্যাদি ব্যাপারে তাদের কাফের ধরা হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ كَمَا تنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيرَةَ رضي الله عنه: (فِطْرَةَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لاَ تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللهِ، ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ)
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রত্যেক নবজাতকই ফিতরাতের উপর জন্মলাভ করে। অতঃপর তার পিতামাতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা বা মাজুসী (অগ্নিপূজারী) রূপে গড়ে তোলে। যেমন, চতুষ্পদ পশু একটি পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা জন্ম দেয়। তোমরা কি তাকে কোন (জন্মগত) কানকাটা দেখতে পাও? অতঃপর আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) তিলাওয়াত করলেনঃ (যার অর্থ “আল্লাহর দেয়া ফিতরাতের অনুসরণ কর, যে ফিতরাতের উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, এটাই সরল সুদৃঢ় দীন”- (সূরাহ আর রুমঃ ৩০/৩০)।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ২৩: জানাযা, অধ্যায় ৭৯, হাঃ ১৩৫৯; মুসলিম, পর্ব ৪৬: কাদর বা ভাগ্য, অধ্যায় ৬, হাঃ ২৬৫৮
আরো জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
মিরাছ বলতে যদি নাবালেগ কাফের সন্তান যদি কোনো সম্পদের মালিক থাকে,তাহলে সে মুসলিম হলে তো তার ওয়ারিশ গন সেই সম্পত্তিতে অংশ পেতোনা,কিন্তু সে যেহেতু দুনয়াবি হুকুমে কাফের,তাই তার সম্পত্তিতে তার কাফের ওয়ারিশ গন সম্পদ পাবে।
,
বিবাহ বলতে সে নাবালেগ অবস্থায় মারা যাওয়ার আগেই যদি বিবাহ করে ফেলে,তাহলে সে যেহেতু দুনিয়াবি হুকুমে কাফের,তাই তার স্ত্রী তার মিরাছ পাবে।
তাদের ধর্ম অনুসারে বিবাহ সম্পর্ক থাকবে।
,
কিসাস বলতে বুঝানো হয়েছে যে তাকে কেউ হত্যা করলে মুসলিম হত্যার যে কিসাস (তথা জানের বিনিময়ে জান) ,সেই বিধান আরোপ হবেনা।
কারন সে দুনিয়াবি হুকুমে কাফের।
,
(০৩)
জায়েজ নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৪)
সুরা আ'রাফের ৪৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ بَیۡنَهُمَا حِجَابٌ ۚ وَ عَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰهُمۡ ۚ وَ نَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡهَا وَ هُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ ﴿۴۶﴾
আর তাদের মধ্যে থাকবে পর্দা এবং আ‘রাফের উপর থাকবে কিছু লোক, যারা প্রত্যেককে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনবে। আর তারা জান্নাতের অধিবাসীদেরকে ডাকবে যে,‘তোমাদের উপর সালাম’। তারা (এখনো) তাতে প্রবেশ করেনি তবে তারা আশা করবে।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
আরাফ কি? সূরা হাদীদের ১২ থেকে ১৯নং আয়াতে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। হাশরের ময়দানে তিনটি দল হবে। (এক) সুস্পষ্ট কাফের ও মুশরিক। (দুই) মুমিনের দল। তাদের সাথে ঈমানের আলো থাকবে। (তিন) মুনাফেকের দল। এরা দুনিয়াতে মুসলিমদের সাথে মিলে থাকত। হাশরের ময়দানেও প্রথম দিকে সাথে মিলে থাকবে এবং পুলসেরাত চলতে শুরু করবে। তখন একটি ভীষণ অন্ধকার সবাইকে ঘিরে ফেলবে। মুমিনরা ঈমানের আলোর সাহায্যে সামনে এগিয়ে যাবে। মুনাফেকরা ডেকে ডেকে তাদেরকে বলবেঃ একটু আস।
আমরাও তোমাদের আলো দ্বারা উপকৃত হই। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ফিরিশতা বলবেঃ পেছনে ফিরে যাও এবং সেখানেই আলো তালাশ কর। এ আলো হচ্ছে ঈমান ও সৎকর্মের। এ আলো হাসিল করার স্থান পেছনে চলে গেছে। যারা সেখানে ঈমান ও সৎকর্মের মাধ্যমে এ আলো অর্জন করেনি, তারা আজ আলো দ্বারা উপকৃত হবে না। এমতাবস্থায় মুমিন ও মুনাফেকদের মধ্যে একটি প্রাচীর বেষ্টনী দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে। এতে একটি দরজা থাকবে। দরজার বাইরে কেবলই আযাব দৃষ্টিগোচর হবে এবং ভেতরে মুমিনরা থাকবে। তাদের সামনে আল্লাহর রহমত এবং জান্নাতের মনোরম পরিবেশ বিরাজ করবে।
ইবন জারীর ও অন্যান্য তাফসীরবিদের মতে এ আয়াতে উল্লেখিত أعراف বলে ঐ প্রাচীর বেষ্টনীকেই বুঝানো হয়েছে। এ প্রাচীর বেষ্টনীর উপরিভাগের নামই আরাফ।
কেননা, أعراف শব্দটি عرف এর বহুবচন। এর অর্থ প্রত্যেক বস্তুর উপরিভাগ। এ ব্যাখ্যা থেকে জানা গেল, জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী প্রাচীরবেষ্টনীর উপরিভাগকে আরাফ বলা হয়। আয়াতে বলা হয়েছে যে, হাশরে এ স্থানে কিছুসংখ্যাক লোক থাকবে। তারা জান্নাত ও জাহান্নাম উভয় দিকের অবস্থা নিরীক্ষণ করবে এবং উভয়পক্ষের লোকদের সাথে প্রশ্নোত্তর ও কথাবার্তা বলবে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আরাফ উঁচু টাওয়ারের মত যা জান্নাত এবং জাহান্নামের মাঝখানে থাকবে।
গোনাহগার কিছু বান্দাকে সেখানে রেখে দেয়া হবে। কেউ কেউ বলেনঃ আরাফ নামকরণ এজন্য করা হয়েছে যে, এখান থেকে তারা একে অপরকে চিনতে পারবে।