ইসলাম ধর্মের আবশ্যকীয় কোন একটি বিশ্বাসকে অস্বিকার করার নাম কুফরী। শুধু কালিমা পড়ে, তারপর রাসূল সাঃ এর আখলাক ও জীবনাচারকে অমান্য ও অবজ্ঞা করলেও কেউ মুসলমান থাকতে পারে না। যেমনটি আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا [٤:٦٥
অতএব,তোমার পালনকর্তার কসম,সে লোক ঈমানদার হবে না,যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।{সূরা নিসা-৬৫} সুতরাং বুঝা গেল যে, কাফের ঐ ব্যক্তি যে জরূরিয়্যাতে দ্বীনের মধ্য থেকে সর্বনিম্ন যে কোন একটি বিষয়কে অস্বিকার করে। বেশি করলে যে কাফের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুরতাদ এর পরিচয়ঃ
মুরতাদ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে প্রথমে মুসলমান ছিল। তারপর ইসলামের যে কোন জরূরিয়্যাতে দ্বীন অস্বিকার করে কাফের হয়ে গেছে। উক্ত ব্যক্তির নাম মুরতাদ। আর যে ব্যক্তি মুরতাদ সে কাফেরও হয়ে যায়। এখানে একটি বিষয় বুঝে রাখতে হবে যে, কাফের মানেই মুরতাদ নয়। কিন্তু মুরতাদ মানেই কাফের। পার্থক্যটা এজন্য যে, কোন ব্যক্তি প্রথমে মুসলমান না হয়ে যদি শুরুতেই ইসলামের আবশ্যকীয় কোন বিষয় অস্বিকার করে, তাহলে সে কাফের। কিন্তু মুরতাদ নয়। কিন্তু যে ব্যক্তি মুসলমান থেকে তারপর কুফরী কাজ করে কাফের হয়, সে হল মুরতাদ। সাথে সাথে কুফরী কাজ করার দ্বারা কাফেরও।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব হাফর রচিত নাওয়াকিদুল ইসলাম কিতাবটি পড়া যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
তবে উক্ত গ্রন্থের কিছু অংশ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ বিষয় ।
,
শায়খে মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর আহকামে জিন্দেগী, ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ পড়তে পারেন।
,
মুফতী মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত কিতাবুল ঈমান, পড়তে পারেন।
,