ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
বৈধ কালাম বলতে,যা কুরআন হাদীস থেকে হবে। কুরআন হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।কুফরী কালাম হবে না।তথা আল্লাহর একত্ববাদের খেলাফ কোনো কালাম পড়া যাবে না।অর্থাৎ এমন দু'আ পড়তে হবে,যা আল্লাহর একত্ববাদকে সমর্থন দেয়।হ
যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://ifatwa.info/226
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীরকে হিসার বা বন্ধ করার কথা হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাবার সময়, বা প্রয়োজন বোধ হলেই সূরা কাফিরূন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস একবার করে পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে। তারপর হাত দু’টি পূর্ণ শরীরে বুলিয়ে নেয়ার নামই হল শরীর বন্ধ করা। এটাকে এভাবে তিনবার করতে হবে।
عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ بِالْمُعَوِّذَتَيْنِ فِي صَلَاةٍ» وَقَالَ لِي: «اقْرَأْ بِهِمَا كُلَّمَا نِمْتَ، وَكُلَّمَا قُمْتَ» (سنن الكبرى للنسائى، رقم-7795)
عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَصَابَنَا طَشٌّ وَظُلْمَةٌ فَانْتَظَرْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصَلِّيَ لَنَا، ثُمَّ ذَكَرَ كَلَامًا مَعْنَاهُ، فَخَرَجَ فَقَالَ: «قُلْ» قُلْتُ: مَا أَقُولُ؟ قَالَ: {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي، وَتُصْبِحُ ثَلَاثًا يَكْفِيكَ كُلَّ شَيْءٍ ” (سنن الكبرى للنسائى، رقم-7811)
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يا عُقْبَةُ قُلْ» قُلْتُ: مَا أَقُولُ؟ قَالَ: ” قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، ثُمَّ قَالَ: قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ “ فَقَرَأَهُنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «لَمْ يَتَعَوَّذِ النَّاسُ بِمِثْلِهِنَّ» أَوْ «لَا يَتَعَوَّذُ النَّاسُ بِمِثْلِهِنَّ» (سنن الكبرى للنسائى، رقم-7803)
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ، وَنَفَثَ فِيهِمَا قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ، وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ (شرح السنة للبغوى، رقم-408)
শরীর বন্ধের উক্ত আ’মলকে ঘরের চতুর্পাশে করা যেতে পারে। তবে হাদীসে বাড়ী বা ঘর বন্ধ নামে কিছু আসেনি। আপনি যে বলছেন , কিছু কিছু হুজুররা এমনটা করে থাকেন, তারা যদি উপরোক্ত দু’আ দিয়ে করে থাকেন, তাহলে তা নিন্দনীয় হবে না। আর যদি ভিন্ন কিছূ দ্বারা করেন, তাহলে এমনটা না করাই উচিৎ। বস্তুত এ বিষয়ে টাকা ইনকামই বেশী প্রদান্য পায়।