আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)
আমি দিনদিন পিছিয়ে পড়ছি ইবাদাতে। অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবে আমলের উন্নতি করতে পারছি না। যতই চেষ্টা করছি বার বার হেরে যাচ্ছি। প্রতিদিনই ১/২ ওয়াক্ত সালাত কাজা হয়ে যাচ্ছে। তিলাওয়াত করা হচ্ছে না, হলেও খুবই কম। তিলাওয়াত শোনা হয় না একদমই। যিকির করা হচ্ছে অল্প। আর সালাত শেষে দু'আ করা হয় খুবই কম। বেশিরভাগ সময়ই দু'আ করি না। মোটকথা নিতান্তই অল্প কিছু করি প্রতিদিন কোনোরকমে। আমি অল্পতেই রেগে যাই। আজেবাজে কথা বলে ফেলছি রেগে। সালাত, তিলাওয়াত, যিকির, দু'আ, সাওম, তাহাজ্জুদ, সাদাকাহ সহ সব দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছি দিনকেদিন।
নিজের উপর লাগাম দিতে পারছি না একদমই। প্রতিটি দিনই চাচ্ছি একটা নতুন শুরু হোক ইবাদাত এবং আমলের দিক থেকে কিন্তু দিন শেষে আমি ব্যর্থ।
একটা দিক কোনো রকম কাভার করি তো অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ি। অনীহা, গাফিলতি একদম শেষ করে দিচ্ছে আমাকে। এখন মনে হচ্ছে আমি ভীষণ ক্লান্ত নিজের সাথে লড়াই করতে করতে। এবং ফলাফল হল আমি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ। আমার অন্তর ছিড়ে যায় নিজের এই করুণ অবস্থা দেখে। আমি আর পারছি না প্রতিদিন হেরে যাওয়ার কষ্ট বহন করতে। সবাই নিজের উন্নতি করছে দিন দিন আর আমি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছি।

আমি কি করতে পারি ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


যিকির না করার কারনে কলব মরে যায়।
বেশি বেশি যিকির করতে হবে,কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
তাহলে ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা থাকবেনা। 

বেশি বেশি যিকির,প্রত্যাহ ফজরের পর এবং রাতে কুরআন তেলাওয়াত করুন,সম্ভব আরো কিছু সময়েও কুরআন তেলাওয়াত করুন,পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীন মানুন,আল্লাহর উপর ভরসা করুন।
,
আরো জানুনঃ 

সালাতুল হাজাত পড়ুন। 
নফল সালাত বেশি বেশি আদায় করুন।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাজে মগ্ন হতেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি তো মহাক্ষমাশীল। (ফলে) তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ৭১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২০)

অধিক হারে দরুদ পড়ুন। হাদিসে এসেছে, উবাই ইবন কাব (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার ওপর অধিক হারে দরুদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরুদ পাঠে ব্যয় করব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভালো। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বলেন, তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভালো। আমি বললাম, দুই-তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তা-ও ভালো। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার ওপর দরুদ পাঠে লাগাব? তিনি বলেন, তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৭)

আরো জানুনঃ 
,
★সাথে সাথে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে অথবা কোনো হক্কানী শায়েখের কাছে বা তার প্রতিনিধিদের ছহবোতে  যান।
ইনশাআল্লাহ প্রশ্নে উল্লেখিত  সমস্যা কেটে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...