(০১)
যদি নামাজ পড়ার মধ্যেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়, তাহলে তার ফরজ নামাজ আদায় হবেনা।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
তবে ঐ দিনের আছরের নামাজ পড়তে পড়তে যদি সূর্য ডুবে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৮৭)
আরো জানুনঃ
বিতর নামাজেরও কাজা করা ওয়াজিব,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ
,
(০২)
প্রত্যেক নামাযের পরে মোনাজাত করা যাবে।
পুরো নামাজ শেষ করে মুনাজাত করা যাবে।
তবে এটাকে জরুরী বা নামাজের অংশ মনে করা যাবেনা।
আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া রহ. বলেন,
رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাযি. একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
হযরত সালমান রাযি. থেকে বর্ণিত,
قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: ما رفع قوم اکفھم الی اللہ عز و جل یسئلونہ شیئا الا کان حقا علی اللہ ان یضع فی ایدیھم الذی سئلوا۔
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কিছু মানুষ হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তখন অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রার্থিত বিষয় দান করেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
হযরত আবূ উমামাহ রাযি. হতে বর্ণিত,
قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮)
,
বিস্তারিত জানুনঃ