সমাধানঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ
কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ,ততটুকু পড়ো। (সূরা-মুয্যাম্মিল-২০)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
لا صَلاة لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
যে ব্যক্তি সূরায়ে ফাতেহা পড়লনা তার নামায-ই যেন হয়নি।(সহীহ বুখারী;বাবুল আযান হাদীস নং৭১৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا قُرِىءَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত নাযিল হয়।
সূরা আ'রাফ;২০৪
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে
وَتَجِبُ قِرَاءَةُ الْفَاتِحَةِ وَضَمُّ السُّورَةِ أَوْ مَا يَقُومُ مَقَامَهَا مِنْ ثَلَاثِ آيَاتٍ قِصَارٍ أَوْ آيَةٍ طَوِيلَةٍ فِي الْأُولَيَيْنِ بَعْدَ الْفَاتِحَةِ كَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ وَالْوِتْرِ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।(ফরয নামাযের) প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা বা লাম্বা এক আয়াত অথবা ছোট্ট তিন আয়াত পরিমাণ সূরার কোনো অংশকে মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।নফল এবং বিতিরের সমস্ত রা'কাতে পড়া সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৭১)
জানুন- 6691
বিতিরের প্রত্যেক রা'কাতে সূরা মিলানো ওয়াজিব।ফিকহের কায়দা হল, যদি কোনো ওয়াজিব, নামাযে ছুটে যায়,তাহলে ঐ নামাযকে ওয়াক্তের ভিতর দোহরিয়ে নেওয়া।ওয়াক্ত চলে গেলে আর দোহড়ানোর প্রয়েজন নেই।বরং ইস্তেগফার করে নিলেই যথেষ্ট হবে।
(২)
কুরআন পড়ার পূর্বে আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়তে হয়।এছাড়া আর কোনো বিশেষ দু'আ বর্ণিত নেই।
(৩)
তাহলে আপনি ভিন্ন সূরা শুরু করে দিবেন।বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত সমপরিমাণ পড়ে নিলে, ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়।