বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
রোযাকে আল্লাহ ফরয করেছেন
কেন করেেছেন? জবাব হল,আল্লাহর ইচ্ছা তাই।
তবে রোযাকে ফরয করার হেকমত হিসেবে বলা যেতে পারে যে,
গরিবদের কষ্ট বুঝাবার জন্য আল্লাহ আমাদের উপর রোযা ফরয করেছেন
এমনটা বলা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
দিনে টুথপেষ্ট দিয়ে মাজা রোযাদারের জন্য মাকরুহ।
সমস্ত উলামায়ে কেরামের মতে ছুটে যাওয়া রোযাকে কা'যা করা ওয়াজিব।এটার উপর সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।
ইবনে আব্দুর বর রাহ বলেন,
" وأجمعت الأمة ، ونقلت الكافة ، فيمن لم يصم رمضان عامداً وهو مؤمن بفرضه، وإنما تركه أشراً وبطراً، تعمَّد ذلك ثم تاب عنه : أن عليه قضاءه "
উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে যে,যে ব্যক্তি রমজানের রোযাকে ফরয হুকুমের বিশ্বাস থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিবে,সে তাওবাহ করবে এবং উক্ত রোযা সমূহে কা'যা করে নেবে।(আল-ইসতেযকার-১/৭৭)
তবে ছুটে যাওয়া রোযা সমূহকে কা'যা করলেও ফযিলতের দিক দিয়ে রমজান মাসে আদায়কৃত রোযার সমপরিমাণ কখনো হবে না।
হযরত আবু-হুরায়রা থেকে বর্ণনা করা হয়,
من أفطر يومًا من رمضان من غير رخصة ولا مرض لم يقضِ عنه صيام الدهر كله ، وإن صامه
যে ব্যক্তি শরয়ী কোনো রুখসত বা উযর ব্যতীত রমজানের কোনো রোযাকে ভেঙ্গে ফেলবে,একযুগ/সারা জীবন রোযা রাখলেও সেই রমজানের রোযার সমপরিমাণ হবে না।(সহীহ বোখারী-শামেলা-৩/৪৩)
এই হাদীস নিয়ে মুহাদ্দিসিনে কেরামের কালাম রয়েছে।
কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম,মনে ছুটে যাওয়া রোযার কোনো কা'যা নেই।বরং এক্ষেত্রে বেশী বেশী নফল রোযা রাখতে হবে।এটা জাহেরিয়্যাহ ফিরকাহ এর মত।এটাকে ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহ ও ইবনু উছাইমিন রাহ গ্রহণ করেছেন।
মোটকথাঃ
যদি কেউ রমজান মাসের কোনো রোযাকে ছেড়ে দেয় বা ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে তাকে উক্ত রোযার কা'যা করতে হবে।এটাই জুমুহুর উলামায়ে কেরামের মত।কেননা রোযা একটি ইবাদত যার ওয়াক্ত বান্দার সামন থেকে চলে গেছে।যেহেতু রোযা বান্দার উপর ফরয ছিলো সুতরাং বান্দার কর্তৃক উক্ত রোযাকে আদায় করা ব্যতীত বান্দা যিম্মা মুক্ত হবে না, দায়মুক্ত হবে না।
সুতরাং সময়সুযোগ করে উক্ত ছুটে যাওয়া রোযাগুলিকে কা'যা করে নেবেন। দুই ঈদ এবং ঈদুল আযহার পরবর্তী তিনদিন,ও হায়েয-নেফাস ব্যতীত যেকোনো সময় রোযাকে কা'যা করা যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।