আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
297 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
edited by
প্রিয় শায়েখ,

ﺍَﻟﺴَّﻼَﻡْ ﻋَﻠَﻴْــــــــــــــــــــﻜُﻢْ ﻭَ ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﮧِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪ

# "গরিবদের কষ্ট বুঝাবার জন্য আল্লাহ আমাদের উপর রোযা ফরয করেছেন" - এরকম কথা কি সঠিক?

# সওম পালনকারী কি দিনে টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজতে পারবেন?

# অতীত জীবনে ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলে (সংখ্যা যানা নেই) কোন আমল দিয়ে এর ক্ষতি পূরণ করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (599,820 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
রোযাকে আল্লাহ ফরয করেছেন
কেন করেেছেন? জবাব হল,আল্লাহর ইচ্ছা তাই।
তবে রোযাকে ফরয করার হেকমত হিসেবে বলা যেতে পারে যে,
গরিবদের কষ্ট বুঝাবার জন্য আল্লাহ আমাদের উপর রোযা ফরয করেছেন

এমনটা বলা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।


দিনে টুথপেষ্ট দিয়ে মাজা রোযাদারের জন্য মাকরুহ।


সমস্ত উলামায়ে কেরামের মতে ছুটে যাওয়া রোযাকে কা'যা করা ওয়াজিব।এটার উপর সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।
ইবনে আব্দুর বর রাহ বলেন,
" وأجمعت الأمة ، ونقلت الكافة ، فيمن لم يصم رمضان عامداً وهو مؤمن بفرضه، وإنما تركه أشراً وبطراً، تعمَّد ذلك ثم تاب عنه : أن عليه قضاءه " 
উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে যে,যে ব্যক্তি রমজানের রোযাকে ফরয হুকুমের বিশ্বাস থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিবে,সে তাওবাহ করবে এবং উক্ত রোযা সমূহে কা'যা করে নেবে।(আল-ইসতেযকার-১/৭৭)

তবে ছুটে যাওয়া রোযা সমূহকে কা'যা করলেও ফযিলতের দিক দিয়ে রমজান মাসে আদায়কৃত রোযার সমপরিমাণ কখনো হবে না।
হযরত আবু-হুরায়রা থেকে বর্ণনা করা হয়,
من أفطر يومًا من رمضان من غير رخصة ولا مرض لم يقضِ عنه صيام الدهر كله ، وإن صامه
যে ব্যক্তি শরয়ী কোনো রুখসত বা উযর ব্যতীত রমজানের কোনো রোযাকে ভেঙ্গে ফেলবে,একযুগ/সারা জীবন রোযা রাখলেও সেই রমজানের রোযার সমপরিমাণ হবে না।(সহীহ বোখারী-শামেলা-৩/৪৩)
এই হাদীস নিয়ে মুহাদ্দিসিনে কেরামের কালাম রয়েছে।

কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম,মনে ছুটে যাওয়া রোযার কোনো কা'যা নেই।বরং এক্ষেত্রে বেশী বেশী নফল রোযা রাখতে হবে।এটা জাহেরিয়্যাহ ফিরকাহ এর মত।এটাকে ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহ ও ইবনু উছাইমিন রাহ গ্রহণ করেছেন।

মোটকথাঃ
যদি কেউ রমজান মাসের কোনো রোযাকে ছেড়ে দেয় বা ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে তাকে উক্ত রোযার কা'যা করতে হবে।এটাই জুমুহুর উলামায়ে কেরামের মত।কেননা রোযা একটি ইবাদত যার ওয়াক্ত বান্দার সামন থেকে চলে গেছে।যেহেতু রোযা বান্দার উপর ফরয ছিলো সুতরাং বান্দার কর্তৃক উক্ত রোযাকে আদায় করা ব্যতীত বান্দা যিম্মা মুক্ত হবে না, দায়মুক্ত হবে না।
সুতরাং সময়সুযোগ করে উক্ত ছুটে যাওয়া রোযাগুলিকে কা'যা করে নেবেন। দুই ঈদ এবং ঈদুল আযহার পরবর্তী তিনদিন,ও হায়েয-নেফাস ব্যতীত যেকোনো সময় রোযাকে কা'যা করা যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...