বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এখানে আপনার ওয়াদা খেলাফি কোনো সূরতেই হবে না। যতক্ষণ না সে মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছে।আর লেখাপড়া ছেড়ে দিলে তো আপনার উপর আর খরচা দেয়াটা ওয়াজিব থাকছে না।
(২)+(৩)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন
ﻗَﺪْ ﺃَﻓْﻠَﺢَ ﻣَﻦ ﺗَﺰَﻛَّﻰ
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়।(সূরা আল-আ'লা-১৪)
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ ও আবুল আ'লিয়া রাহ বলেন,এই আয়াত দ্বারা সদকাতুল ফিতর উদ্দেশ্য।(আহকামুল কুরআন)
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ »
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)
যাকাত যারা খেতে পারবে ফিতরা ও তারা খেতে পারবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/৬১৯)
ঈদের নামাযে যাওয়ার পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব।ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে দুই বৎসর পূর্বেও ফিতরাকে আদায় করা যায়।ঈদের নামাযের পূর্বে কেউ আদায় করতে না পারলে ঈদের নামাযের পরে অবশ্যই আদায় করে নেবেন।পরে কতদিন পর্যন্ত? মূত্যুর পূর্বে যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন।তবে তারাতারি আদায় করাই মুস্তাহাব।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৩৫৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1511
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থ- নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)
কোন কোন জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যাবে? বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1811
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাবালক সন্তানের ফিতরা তার উপর ওয়াজিব হবে,যদি তার সম্পদ থাকে।আর নাবালক সন্তানের ফিতরা তার পিতার উপর ওয়াজিব হবে,যদি তার সম্পদ থাকে।
(৪)আল্লামা কা'সানি রাহ বলেন,
وَلَوْ حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِي حَالِ الِاعْتِكَافِ فَسَدَ اعْتِكَافِهَا
যদি এ'তেকাফ অবস্থায় মহিলার হায়েয চলে আসে তাহলে তার এ'তেকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।(বাদায়ে সানায়ে-২/১১৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- ১২৭৫
(৫) সুন্নত বা ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য রোযা শর্ত।তবে নফল ইতিকাফের জন্য রোযা শর্ত নয়।
(৬)নফল ইতিকাফের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে।আর শেষ দশে সুন্নত ইতিকাফের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে।