আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
397 views
in সালাত(Prayer) by (73 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত মুফতি সাহেব,

 প্রশ্ন ১- নামাজরত  মুসল্লি কোন আয়াত বা সুরা পড়বেন এ নিয়ে চিন্তা করে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিলেন।
এ অবস্থায়  কেরাত বন্ধ করে সময় নিলে হুকুম কী ?
আর  কেরাত চালু রেখে সময় নিলে কী হুকুম?

(অর্থাৎ সেজদা লাগবে কি না?)

প্রশ্ন ২-নামজরত মুসল্লী রাকাতের হিসাব করতে গিয়ে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিলেন।এ অবস্থায়  কেরাত বন্ধ করে সময় নিলে হুকুম কী ?

আর  কেরাত চালু রেখে সময় নিলে কী হুকুম?
closed

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজের ভিতর এক রুকন সমপরিমাণ চুপ থাকলে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হয়।
,
(এক রুকন= ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم  পড়া সমপরিমাণ সময়) 

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) 
(2/ 93):
"أداء ركن ولم يشتغل حالة الشك بقراءة ولا تسبيح) ذكره في الذخيرة (وجب عليه سجود السهو في) جميع (صور الشك) سواء عمل بالتحري أو بنى على الأقل، فتح ؛ لتأخير الركن، لكن في السراج أنه يسجد للسهو في أخذ الأقل مطلقاً، وفي غلبة الظن إن تفكر قدر ركن.
(و) اعلم أنه (إذا شغله ذلك) الشك فتفكر (قدر... الخ
(قوله واعلم إلخ) قال في المنية وشرحها الصغير: ثم الأصل في التفكر أنه إن منعه عن أداء ركن كقراءة آية أو ثلاث أو ركوع أو سجود أو عن أداء واجب كالقعود يلزمه السهو لاستلزام ذلك ترك الواجب وهو الإتيان بالركن أو الواجب في محله، وإن لم يمنعه عن شيء من ذلك بأن كان يؤدي الأركان ويتفكر لايلزمه السهو".
যার সারমর্ম হলো নামাজে এক রুকন সমপরিমাণ সময় কেরাত/তাসবিহ না করে চুপ থাকলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কিরাআত বন্ধ করে সময় নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
 কিরাআত চালু রেখে সময় নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আয়েশা রাঃ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞাসা করেছি যে, নামাজে এদিক সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বলেছেন,


عن عائشة أم المؤمنين قالت سَأَلْتُ رَسولَ اللَّهِ ﷺ عَنِ الِالْتِفاتِ في الصَّلاة  فَقالَ هو اخْتِلاسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطانُ مِن صَلاةِ العَبْدِ


অর্থাৎ এটা হলো শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদেরকে নামাজ থেকে গাফেল ও উদাসীন করে ফেলে।
( বুখারী হাদিস-৭৫১)

রাসূলুল্লাহ (সা:) একথাও বলেছেন যে, “যখন তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি নামাজের জন্য দাঁড়ায় তবে সে যেন সর্বাত্মকভাবে আল্লাহর দিকে অনুপ্রাণিত থাকে, নিবিষ্ট থাকে, এমনিভাবেই যেন নামাজ শেষ করে এবং নামাজে মুখ ফিরিয়ে এদিক-সেদিক তাকিয়ো না। কেননা, যতক্ষণ তোমরা নামাজে রত থাক, ততক্ষণ তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কথাবার্তা বলছ।” (কানজুল উম্মাল : ৪ খ: ১০৮ পৃ:)
.

(০২)
রাকাতের হিসেবের ক্ষেত্রেও বিধান একইঃ
কিরাআত বন্ধ করে সময় নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
 কিরাআত চালু রেখে সময় নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 979 views
...