জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
জাতীয় পতাকা যদি তাতে কোনো প্রানীর ছবি,অমুসলিমদের নিদর্শন কিছু না থাকে,তাহলে দেশের আইন মানার স্বার্থে তাহা টাঙ্গানো জায়েজ আছে।
জাতীয় সঙ্গীতে যদি কোনো কুফরী,ইসলাম বিরোধী বাক্য না থাকে,কোনো বাদ্য-বাজনা না থাকে,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।
অন্যথায় তাহা জায়েজ নেই।
,
কোন মুসলিমের জন্য জাতীয় পতাকা কে স্যালুট দেওয়া বা দাঁড়িয়ে সালাম করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই। মূলত এটি অমুসলিমদের থেকে মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। এটি পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ মাত্র। জড় পদার্থকে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া বা স্যালুট করা মূর্খতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির ফতোয়া হল:
لا يجوز للمسلم القيام إعظاماً لأي علم وطني، أو سلام وطني، بل هو من البدع المنكرة التي لم تكن في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا في عهد خلفائه الراشدين رضي الله عنهم، وهي منافية لكمال التوحيد الواجب وإخلاص التعظيم لله وحده، وذريعة إلى الشرك، وفيها مشابهة للكفار وتقليد لهم في عاداتهم القبيحة، ومجاراة لهم في غلوهم في رؤسائهم ومراسيمهم، وقد نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن مشابهتهم أو التشبه بهم. انتهى.
“কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা জাতীয় সালাম প্রদান জায়েজ নাই বরং এটি জঘন্য বিদআত যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খুলাফায়ে রাশেদার যুগে ছিল না। এটি অত্যাবশ্যকীয় তাওহীদের পূর্ণতা এবং এক আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থী। এটি শিরকের মাধ্যম। এটি কাফেরদের সাদৃশ্য এবং নিকৃষ্ট রীতি-নীতির অন্ধ অনুকরণ মাত্র। কাফেররা তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের অনুষ্ঠানাদিতে যেভাবে বাড়াবাড়ি করে এর মাধ্যমে তাদের সাথে মিল দেয়া হয়। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন বা তা তাদের সাথে মিল দেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।” [ফতোয়া ১/২৩৫, ফতোয়া নং ২১২৩]
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিনয়াবনত ও ভক্তি সহকারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকার সম্মান প্রদর্শন করা, জাতীয় সংগীতের সম্মানে দাঁড়ানো কারো জন্যেই মানানসই নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটি আল্লাহর জন্যে করা হয়ে থাকে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। [সূরা বাকারা, আয়াত ২৩৮]
,
বিস্তারিত জানুনঃ