আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার বড় ভাইয়ের জন্য আমার বাবা-মা এমন একটি পাত্রী দেখছেন যে সুইডেনে পড়াশুনা এবং চাকরি করে, স্থায়ীভাবে বসবাস করার ইচ্ছা আছে। যদি বিয়ে হয় তাহলে তারপর আমার ভাইকে সুইডেনে নিয়ে যাবে, দুইজনেরই ওখানকার নাগরিক হওয়ার ইচ্ছা। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি এটুকু জানি যে স্থায়ীভাবে অমুসলিম দেশে বসবাস করা হারাম। উল্লেখ্য যে আমার ভাই দেশে কোন ভাল চাকরি পাচ্ছে না এবং ব্যবসায়ও ভালো করতে পারছে না তাই তার এই সিদ্ধান্ত। তবে এমন না যে খুঁজলে একদমই চাকরি পাবে না। পাবে তবে সে বা আমার বাবা মা যেই লাইফস্টাইল চায় সেটা হয়তো পাবে না। আমার ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না। শুধু জুম্মার নামাজ পড়ে। সে আল্লাহ ভীরু তবে তার আমল ঠিক হয়নি এখনো। পাত্রী নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, দেশে পর্দা করতো তবে বিদেশে যেয়ে করতে পারেনা। এমত অবস্থায় আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ যে কিভাবে তাদেরকে বুঝাবো। আমার ধারনা যে মানুষ দেশেই ঠিকমতো ইসলাম পালন করে না সে বিদেশে যেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যাবে। আমার বাবা-মা নামাজী মানুষ কিন্তু ও মুসলিম দেশে বসবাসের ব্যাপারটা বললেও ওই ব্যাপারে   তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের কথা হলো আমরা ওকে বলে দিব জানো ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আর সব কিছু মেনে চলে। আর মুসলমান মানুষ যেই দেশেই থাকে সে নিজের ধর্ম পালন করতে পারলেই হলো। আমি নিজে এই পরিবেশে ইসলাম প্র্যাকটিস করতে গিয়ে নানান বাধা এবং কটাক্ষের স্বীকার হচ্ছি। আমি কিছু বুঝাতে গেলেই সমস্যা বেধে যাচ্ছে। হয়তো আমার বোঝানোর স্টাইল ভালো না। আপনার উত্তরটি আমি তাদেরকে দেখাবো। আপনি যদি এখানে সুন্দর ভাবে লিখে দিতেন যে এমত অবস্থায় কি করা উচিত বললে খুবই উপকৃত হতাম। আল্লাহ চাইলে আপনার লেখা পড়ে উনাদের বুঝ আসবে। আমার পরিবারের দূর-দূরান্ত পর্যন্ত এমন কেউ নেই যে এসব কথা তাদেরকে বোঝাতে পারবে। সবার কাছে একই কথা যে দেশে থেকে কি হবে। আর সবার যুক্তির অভাব নেই যে ওখানে যেয়েও ইসলাম পালন করা যায়। আপনার উত্তর পেলে খুশি হব। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
ago by (741,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলকঃ আয়াত-১৫)

তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই। তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3447

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ভাই যে কি না নিজ দেশে, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নিজের ধর্ম কর্মকে সঠিক ভাবে পালন করতে পারছে না,  সে কিভাবে অমুসলিম দেশে গিয়ে নিজের ঈমান আমলকে হেফাজতে রাখবে। তাছাড়া যেই মহিলা পর্দা করতে পারছেন না তিনি কিভাবে সন্তানাতিকে ইসলামী তা'লিম ও তরবিয়ত দিবেন। মোটকথা সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা পরামর্শ দিবো আপনার ভাইয়ের উচিত দেশে কিছু করা বা মুসলিম কোনো দেশে স্থানান্তরিত হওয়া। আল্লাহ তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...