সুরা আনফাল এর ২৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَجِیۡبُوۡا لِلّٰهِ وَ لِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاکُمۡ لِمَا یُحۡیِیۡکُمۡ ۚ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ یَحُوۡلُ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ وَ قَلۡبِهٖ وَ اَنَّهٗۤ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও; যখন সে তোমাদেরকে আহবান করে তার প্রতি, যা তোমাদেরকে জীবন দান করে। জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন। আর নিশ্চয় তাঁর নিকট তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসঃ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّيْ فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ (اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْ) ثُمَّ قَالَ لِيْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِيْ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ سُوْرَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَالَ (الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُهُ
আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সালাত আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন- (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ -সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে। [বুখারী ৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১১৯)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাপারে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বিভিন্ন মত পেশ করেছেনঃ
★এটি নফল নামাজ ছিলো,যেখানে নামাজ ছেড়ে দিয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ মা বাবা ডাকলেও তাতে সাড়া দেওয়া জায়েজ আছে।
তবে পরবর্তীতে উক্ত নামাজ আবার আদায় করে নিতে হবে।
,
নফল নামাজে থাকা অবস্থায় মা-বাবা ডাকলে নামাজ ছেড়ে তাদের ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে। তবে তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ২/২২০; হাশিয়াতুত-তাহতাভি আলা মারাকিল ফালাহ : ১/২৪৯)
قال في رد المحتار (۲/۴۲۶ ط: مکتبہ زکریا دیوبند): قلت لکن ظاہر الفتح أنہ نفي للجواز وبہ صرح في الإمداد بقولہ : أي: لا یجوز قطعہا بنداء أحد أبویہ من غیر استغاثة وطلب إعانة لأن قطعہا لا یجوز إلا لضرورة، وقال الطحطاوي: ہذا في الفرض، وإن کان في نافلة إن علم أحد أبویہ أنہ في الصلاة وناداہ لا بأس أن لا یجیبہ وإن لم یعلم یجیبہ
সারমর্মঃ
প্রয়োজন ব্যাতিত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ নেই।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 43654 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কঠিন প্রয়োজনে ফরজ নামাজে মা বাবা ডাকলে সেই ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে।
তবে কঠিন প্রয়োজন না হলে যাওয়া যাবেনা।
,
তবে নফল নামাজে যাওয়া যাবে।
,
★কেহ কেহ বলেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ডাকে নামাজের মধ্যেও সাড়া দেওয়ার বিধান আছে।
رجح بعضهم أن إجابته لا تبطل الصلاة لأن الصلاة إجابة قال: وظاهر الحديث يدل عليه ولذا رجح تفسير الاستجابة بالطاعة والدعوة بالبعث والتحريض وقيل كان دعاه لأمر لا يحتمل التأخير فجاز قطع الصلاة
সারমর্মঃ