আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
8 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১।রোজা রাখার জন্য যদি সেহেরি খাইতে খাইতে আযান দেয় বা ঔ অবস্থায় মুখে খাবার আছে কিছুটা তাহলে কি রোজা রাখা যাবে?
২।নফল রোজা আর ফরজ রোজার ক্ষেত্রে কি এরকম হলে কি করব?
৩।আমার অনেকগুলো কাযা রোজা আছে।আমি রোজা আদায় করার জন্য রাতে নিয়ত করি। কিন্তু মাঝেমধ্যে উঠতে পারিনা।আমার এই নিয়তের জন্য কি পুনরায় ঐ দিনের রোজা কাযা আদায় করতে হবে?নাকি এমনি কাযা রোজাগুলো যেকোন দিন আদায় করলেই হবে।

1 Answer

0 votes
by (741,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) রোজা রাখার জন্য যদি সেহরি খাইতে খাইতে আযান দেয় বা ঐ অবস্থায় মুখে খাবার আছে কিছুটা, তাহলে খাবার ফেলে দিতে হবে। এবং তখন থেকেই রোযার নিয়ত করতে হবে। 

(২) নফল রোজা আর ফরজ রোজার ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য হবে। 

(৩) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে। এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1055

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাযা রোযা যেকোনো দিন আদায় করা যাবে না। তবে যেইদিন রাতে নিয়ত করা হবে, বিনা কারণে সেইদিনকে পরিত্যাগ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...