(০১)
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত প্রস্রাব,রক্ত,বীর্যের পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয় ভা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর।
{সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে সালামের জবাব সালাম দাতাকে শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। তবে শুনতে না পারলে তাতে ইশারা করে বোঝাবে যে উত্তর দেওয়া হচ্ছে।
(আল আজকার : ১/৪০৭, ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৪/২৭৬,ফাতওয়া বিভাগ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা)
শায়েখ খলিলুর রহমান মাদানী সাহেব হাফিঃ বলেনঃ
সালামের জবাব সালামদাতাকে শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। কেউ যদি শুনিয়ে জবাব না দেয়, তাহলে কার সওয়াব তো হবেই না, উল্টো আরো ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآ
‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৮৬]
তবে সালামদাতা যদি দূরে থাকে এবং শুনিয়ে জবাব দেওয়া যদি সম্ভব না হয়, তাহলে মুখে উচ্চারণের পাশাপাশি হাত দ্বারাও ইশারা করে দিবে, যেন সালামদাতা বুঝতে পারে।
তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৮০৬