আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পবিত্রতা (Purity) by (62 points)
১) আমি একটা বাসায় বেড়াতে এসেছি। তাদের তোষকে হায়েযের ব্লাড লেগে গেছে ২ ফোঁটার মত।  এখন এটা পাক করব কিভাবে?  ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দাগ তুলে ফেললে কি পাক হবে?
২) তারা পাক নাপাক ঠিক বুঝে না।  এখন তাদেরকে বুঝাইতে গেলে তো আমার সারাক্ষণ শুধু পাক নাপাকের কথা বলতে বলতে তাদেরকে বিরক্ত করে ফেলা লাগবে কারণ নাপাক হাত পা নিয়ে সবদিকে যাচ্ছে ধরতেসে। আমি যদি কিছু না বলি তাতে কি গুনাহ হবে?
৩) তাদের পাক নাপাকের এসব বিষয় দেখে আমার যাতে অস্বস্তি না লাগে এজন্য ওদের কাছাকাছি বেশি বেশি থাকি না।  এতে কি গুনাহ হবে? যেহেতু কাইন্ড অফ আমি পলায়ন করতে চাচ্ছি এসব বিষয় যাতে দেখা না লাগে।
৪) বাথরুম থেকে প্রস্রাবের কাপড় ধুতে গিয়ে বারবার বিভিন্ন কাজে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসে। ফ্লোরে নিয়ে ধুইতে থাকে পানি দিয়ে । বালতি থেকে মগ দিয়ে পানি নেয় আবার মগ ফ্লোরে রেখে দেয়। এখন তাদের বাসার  ফ্লোর কি নাপাক ধরতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (741,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাপড়কে কয়েক কারণে দৌত করার প্রয়োজন পড়ে।
(১)দৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(২)অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(৩)ময়লা বা ঘামে কাপড় সিক্ত হওয়ার কারণে।

বিশ্লেষণঃ
কাপড়ে কোনো প্রকার নাজাসত না লেগে থাকলে তা দৌত করা জরুরী নয়।তবে ময়লা হলে অবশ্যই পরিস্কার করে রাখতে হবে।যা সভ্যতা ও ভদ্রতার আলামত।
আর যদি কাপড়ে দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে তাহলে নাজাসত দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।যদি একবার দৌত করা দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে একবারই এর জন্য যথেষ্ট হবে।কিন্তু একবার দৌত করার পর নাজাসত দূর না হলে দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।

আর যদি অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে তা তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/889


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তোষকে হায়েযের রক্ত লেগে থাকলে, তিনবার ধৌত করতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দাগ তুলে ফেললে কাপড়টি পাক হবে না।

(২) তারা যদি পাক নাপাক না বুঝে থাকে। তাহলে তাদেরকে একবার সবিস্তারে বুঝাবেন। বুঝানোর পরও যদি তারা গুরুত্ব না দেয়, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো দায়বদ্ধতা থাকবে না।

(৩) তাদের পাক নাপাকির বিষয়ে বুঝানোর পরও উদ্যোগ নেয়া না হলে, এতে কোনো আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৪) বাথরুম থেকে প্রস্রাবের কাপড় ধুতে গিয়ে বারবার বিভিন্ন কাজে বাথরুম থেকে বের হয়ে যদি আসা হয়।  বালতি থেকে মগ দিয়ে পানি নিয়ে আবার মগ ফ্লোরে রেখে দিলে বাসার ফ্লোর নাপাক ধরতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 391 views
...