ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাপড়কে কয়েক কারণে দৌত করার প্রয়োজন পড়ে।
(১)দৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(২)অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(৩)ময়লা বা ঘামে কাপড় সিক্ত হওয়ার কারণে।
বিশ্লেষণঃ
কাপড়ে কোনো প্রকার নাজাসত না লেগে থাকলে তা দৌত করা জরুরী নয়।তবে ময়লা হলে অবশ্যই পরিস্কার করে রাখতে হবে।যা সভ্যতা ও ভদ্রতার আলামত।
আর যদি কাপড়ে দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে তাহলে নাজাসত দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।যদি একবার দৌত করা দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে একবারই এর জন্য যথেষ্ট হবে।কিন্তু একবার দৌত করার পর নাজাসত দূর না হলে দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।
আর যদি অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে তা তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/889
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তোষকে হায়েযের রক্ত লেগে থাকলে, তিনবার ধৌত করতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দাগ তুলে ফেললে কাপড়টি পাক হবে না।
(২) তারা যদি পাক নাপাক না বুঝে থাকে। তাহলে তাদেরকে একবার সবিস্তারে বুঝাবেন। বুঝানোর পরও যদি তারা গুরুত্ব না দেয়, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো দায়বদ্ধতা থাকবে না।
(৩) তাদের পাক নাপাকির বিষয়ে বুঝানোর পরও উদ্যোগ নেয়া না হলে, এতে কোনো আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৪) বাথরুম থেকে প্রস্রাবের কাপড় ধুতে গিয়ে বারবার বিভিন্ন কাজে বাথরুম থেকে বের হয়ে যদি আসা হয়। বালতি থেকে মগ দিয়ে পানি নিয়ে আবার মগ ফ্লোরে রেখে দিলে বাসার ফ্লোর নাপাক ধরতে হবে না।