ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উশর প্রসঙ্গ।
জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়।চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
অর্থ্যাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর রাস্তায় দেওয়া ফরয। বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত তাতে উশুর আসবে।যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম। কিন্তু যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺣَﻘَّﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺣَﺼَﺎﺩِﻩ
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আম কাঁঠাল সবেদা ইত্যাদি ফসলের উশর ওয়াজিব হবে। যেহেতু সাধারণত এগুলো আসমানের পানি দ্বারাই হয়ে থাকে, তাই এগুলোতে ১০ ভাগের ১ ভাগ উশর ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/9566
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আম্মু উৎপাদিত শিমের ২০ ভাগের এক ভাগ উশর আদায় করবেন। গরীব মিসকিনদেরকে দিয়ে দিবেন। মৌসুমের শুরু বা শেষ যেকোনো সময় আদায় করলেও হবে। তাছাড়া ধান ইত্যাদি উৎপাদিত হলে তাতেও উশর আসবে।