হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আল্লাহ তা'আলা শা'বানের মধ্যরাত্রিতে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সকল মু'মিন মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।(সুনানে ইবনে মা'জা-১৩৯০)
কাহারো সম্মান,সম্পদ,বাড়ি ঘর ইত্যাদির প্রতি আপনার হিংসা আছে কিনা?
আসলে হিংসা মনের মধ্যে থাকলে সাধারণত আচরণে ফুটে ওঠে । সুতরাং আপনি যদি হিংসার কারনে কাউকে এড়িয়ে চলেন তাহলে আপনি যেন সবার সামনে তুলে ধরছেন যে, আপনি তাকে কতখানি হিংসা করেন। তখন এটা হবে আপনার হিংসারই বহিঃপ্রকাশ।
এ রোগের চিকিৎসাঃ
হিংসার পরিণতি সম্পর্কে ভাবুন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন হিংসার ক্ষতিকর দিকগুলো। যেমন, নবীজি ﷺ বলেছেন,
إِيّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النّارُ الْحَطَبَ أَوْ قَالَ الْعُشْبَ.
তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থেকো। কারণ হিংসা নেক আমলসমূহকে গ্রাস করে নেয়, যেভাবে আগুন গ্রাস করে লাকড়ি (অথবা ঘাস)। (আবু দাউদ ৪৯০৫)
মনের বিপরীতে তার জন্য দোয়া করুন এবং আপনিও সেটি অর্জন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دَعْوةُ المرءِ المُسْلِمِ لأَخيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ مُسْتَجَابةٌ، عِنْد رأْسِهِ ملَكٌ مُوكَّلٌ كلَّمَا دَعَا لأَخِيهِ بخيرٍ قَال المَلَكُ المُوكَّلُ بِهِ: آمِينَ، ولَكَ بمِثْلٍ
মুসলিম ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করলে তা কবুল করা হয়। দোয়াকারীর মাথার কাছে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা থাকে। যখনই তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা তার দোয়া শুনে ‘আমীন’ বলতে থাকে এবং বলে তুমি যে কল্যাণের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ অনুরূপ কল্যাণ তোমাকেও দান করুন। (মুসলিম ২৭৩৩)
নিম্নোক্ত দোয়া পড়ুন। এটি আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীকে শিখিয়ে দিয়েছেন,
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيْمَانِ وَلاَ تَجْعَلْ فِيْ قُلُوْبِنَا غِلاَّ لِلَّذِيْنَ آمَنُوْا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوْفٌ رَحِيْمٌ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ও আমাদের সেইসব ভাইকে তুমি ক্ষমা কর। যারা আমাদের পূর্বে ঈমান এনেছে। আর তুমি আমাদের অন্তরে মুমিনদের বিরুদ্ধে কোনরূপ বিদ্বেষ সঞ্চার করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই তুমি স্নেহশীল ও দয়াবান। (হাশর ১০)
মনকে হিংসামুক্ত রাখার জন্যে প্রিয় নবীজী ﷺ উম্মতকে এই দোয়াটিও শিক্ষা দিয়েছেন,
رَبِّ تَقَبّلْ تَوْبَتِى وَاغْسِلْ حَوْبَتِى وَأَجِبْ دَعْوَتِى وَثَبِّتْ حُجّتِى وَاهْدِ قَلْبِى وَسَدِّدْ لِسَانِى وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِى
প্রভু আমার! আপনি আমার তওবা কবুল করুন, আমার পাপরাশি ধুয়ে দিন, আমার ডাকে সাড়া দিন, আমার দলিল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করুন, আমার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার যবানকে সঠিক রাখুন আর আপনি আমার অন্তরের যাবতীয় কলুষতা দূর করে দিন। (আবু দাউদ ১৫১২)