আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,570 views
in সালাত(Prayer) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ ,তাহিয়াতুল ওযুর সালাত কি সব সময় ওযুর পরে পড়া যায় ?অনেকেই বলে ফজর আর আসরের সালাতের সময় নাকি পড়া যায়না !এটা কি ঠিক ?

আর ওযু করেই কি সাথে সাথে আদায় করতে হবে ?যদি ওযু করে ঘরের কোনো ছোট কাজ করে আদায় করি সেক্ষেত্রে কি আদায় হবে ?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তাহিয়্যাতুল ওজুঃ-
অজু করার পর অজুর অঙ্গগুলো শুকানোর পূর্বেই দুই রাকাত নামাজ পড়া মোস্তাহাব। ইসলামী পরিভাষায় এই নামাজকে "তাহিয়্যাতুল অজু" বলে।

তাহিয়্যাতুল অজু পড়ার নিয়ম:
সাধারণ সুন্নাত ও নফল নামাজের ন্যায় যে কোনো সুরা-কিরাত দ্বারা  তাহিয়্যাতুল অজু আদায় করা যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সুরা মিলাতে হবে এবং আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছুরা সব পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে,
عَن عقبَة بن عَامر الْجُهَنِيّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْه، أَن رَسُول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم َ قَالَ: "مَا من أحد يتَوَضَّأ فَيحسن الْوضُوء، وَيُصلي رَكْعَتَيْنِ يقبل بِقَلْبِه وَوَجهه عَلَيْهِمَا؛ إِلَّا وَجَبت لَهُ الْجنَّة "
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে মুসলমান সুন্দর রুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। ” (সহিহ মসলিম-২৩৪, আবু দাউদ-৩০৪)

عن عُثْمَانَ بْن عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : (مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.)
হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,  যে ব্যক্তি আমার অজুর মতো অজু করে (একাগ্রতার সহিত) দুই রাকাআত নামাজ পড়বে এবং এ সময় অন্তরে অন্য কোনো ধারনা উদয় হবে না বা কোনো কথা বলবে না। তাহলে তার পূর্বেকার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, বাইহাকি, ইবনে হিব্বান)

হাফেজ ইবনে হাজার রহ. তাহিয়্যাতুল অজু সংক্রান্ত এই দুটি হাদিস উল্লেখ্য করার পর বলেন,
"فيه استحباب صلاة ركعتين عقب الوضوء " انتهى .
এই হাদিসদুটিতে দলিল রয়েছে অজুর পর দুই রাকাত নামাজ মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে।
يستحب ركعتان عقب الوضوء للأحاديث الصحيحة فيها " انتهى) .المجموع شرح المهذب (3 /545)
ইমাম নববী রহ. বলেন, বিশুদ্ধ হাদিসের দলিল থাকার কারণে বুঝা গেল, অজুর পর দুই রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

এ বিষয়ে আরও একটি হাদিস রয়েছে বুখারি ও মুসলিম শরিফে।
أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ - رضى الله عنه - دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . وروى البخاري (160) ومسلم (226)
হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া তূজীবী (রহঃ) ... উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম হুমরান থেকে বর্ণিত যে, উসমান (রাঃ) অজুর পানি চাইলেন। এরপর তিনি অজু করতে আরম্ভ করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), তিনি [উসমান (রাঃ)] তিনবার তাঁর হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুইলেন এরপর কুলি করলেন এবং নাক ঝাড়লেন। এরপর তিনবার তার মুখমন্ডল ধুইলেন। এবং ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুইলেন। অতঃপর বাম হাত অনুরুপভাবে ধুইলেন। অতঃপর তিনি মাথা মাসেহ করলেন। এরপর তার ডান পা টাখনু পর্যন্ত ধুইলেন এরপর বাম পা অনুরুপভাবে ধুইলেন।
এরপর তিনি বললেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার এ অজু করার ন্যায় অজু করতে দেখেছি। এবং অজুর শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি আমার এ অজুর ন্যায় অজু করবে এবং দাঁড়িয়ে এরুপে দু-রাকআত নামাজ আদায় করবে যে, সে সময়ে মনে মনে অন্য কোন কিছু কল্পনা করেনি, সে ব্যাক্তির পুর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৬০, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২৬)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
" وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ عَقِبَ الْوُضُوءِ وَلَوْ كَانَ وَقْتَ النَّهْيِ ، وَقَالَهُ الشَّافِعِيَّةُ " انتهى . (الفتاوى الكبرى 4/345)
আল্লামা যাকারিয়া আল আনসারী রহ. বলেন,
"وَنُدِبَ لِمَنْ تَوَضَّأَ أَنْ يُصَلِّيَ عَقِيبَ وُضُوئِهِ رَكْعَتَيْنِ فِي أَيِّ وَقْتٍ كَانَ " انتهى .(أسنى المطالب 1/44)


 আদ্দুর্রুল মুখতার(২/২২) গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
 في الدرالمختار ،ج:٢ ص:٢٢ (وَنُدِبَ رَكْعَتَانِ بَعْدَ الْوُضُوءِ) يَعْنِي قَبْلَ الْجَفَافِ كَمَا فِي الشُّرُنْبُلَالِيَّة عَنْ الْمَوَاهِبِ 
 ওজুর পর ওজুর পনি শুকানোর পূর্বে দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব। 

 তাহিয়্যাতুল মসজিদঃ
 في الدرالمختار ،ج٢،ص:١٨ (وَيُسَنُّ تَحِيَّةُ) رَبِّ (الْمَسْجِدِ، وَهِيَ رَكْعَتَانِ، وَأَدَاءُ الْفَرْضِ) أَوْ غَيْرُهُ، وَكَذَا دُخُولُهُ بِنِيَّةِ فَرْضٍ أَوْ اقْتِدَاءٍ (يَنُوبُ عَنْهَا) بِلَا نِيَّةٍ، 
 মসজিদের রবের শুকরিয়া আদায় জ্ঞাপক তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব (সুন্নাতে গায়রে মু'আক্কাদা)। ফরয নামায বা ইমামের অনুসরণ করার নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করলে বিনা নিয়তে সে সব নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল মসজিদও আদায় হয়ে যাবে। 
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন,
 (قوله وهي ركعتان) في القهستاني وركعتان أو أربع، وهي أفضل لتحية المسجد إلا إذا دخل فيه بعد الفجر أو العصر، فإنه يسبح ويهلل ويصلي على النبي - صلى الله عليه وسلم - فإنه حينئذ يؤدي حق المسجد كما إذا دخل للمكتوبة فإنه غير مأمور بها حينئذ كما في التمرتاشي. اهـ. 
 তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই বা চার রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।তবে যদি কেউ মসজিদে ফজর এবং আছরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর প্রবেশ করে তাহলে, তাহলে তার জন্য তখন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু'রাকাত করে নামায পড়ার নিয়ম নেই।বরং তখন মাকরুহ হবে।সে কি করবে?বলা যায় যে,সে তাসবীহ, তাহলীল,এবং নবীর উপর দুরূদ পাঠ করবে।তখন মসজিদের হক্ব আদায় হয়ে যাবে।ঠিক তেমনি কেউ ফরয নামায আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে,তখন তার জন্যও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া অত্যাবশ্যকীয় নয়।কেননা ফরয নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায আদায় হয়ে যায়।(শেষ) 

সুবহে সাদিকের পর তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা তাহিয়্যাতুল ওজুর নামায পড়া জায়েয নয়।সুবহে সাদিকের পর দুই রাকাত সুন্নাতে মু'আক্বাদাহ নামায ব্যতীত অন্য যেকোনো নফল নামায পড়া মাকরুহ।তখন মসজিদে বসে যিকিরে মশগুল থাকলেই তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাযের সওয়াব পাওয়া যাবে। মসজিদের প্রবেশ করার পর ওজুর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে দু'রাকাত নামায পড়ে নিলে, সে দু রা'কাত নামায তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ উভয় হিসেবে আদায় হয়ে যাবে। এমন কি মসজিদে প্রবেশ করার পর যেকোনো নামায পড়ে নিলেই তা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।আর সে নামায যদি ওজুর পানি শুকানোর পূর্বে হয়,তাহলে তাহিয়্যাতুল ওজু হিসেবেও আদায় হবে।(আহসানুল-ফাতাওয়া-৩/৪৮১) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নামায।এই নামাযদ্বয়কে পড়া আমাদের সবারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ওজু করার পর ওজুর পানি শুকানোর পূর্বেই তাহিয়্যাতুল ওজুকে পড়তে হবে।আর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাযকে মসজিদে প্রবেশ করার পর বসার আগেই পড়ে নেয়া উচিৎ।তবে বসার পরও পড়া যাবে।কেউ যদি দিনে কয়েকবার মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে সারা দিনে একবার, হয়তো প্রথমবার না হয় শেষবার তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া সুন্নাতে মু'আক্কাদাহ(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৮৩) ঠিক তেমনি ওজুর বিষয়টাও।  

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! 

তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী। 

  1.  (১)সূর্যোদয়ের সময়
  2. (২)সূর্যাস্তের সময়
  3. (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়। 

 আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ। 

  1. (১)সূর্যোদয়ের সময়
  2. (২)সূর্যাস্তের সময়
  3. (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।
  4. (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে 
  5. (৫)আছরের নামাযের পরে।(শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়) 
সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।

তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ সম্পর্কে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নাই।তবে যেহেতু ফিৎনার আশংকায় নারীদের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ।তাই তারা শুধুমাত্র তাহিয়্যাতুল ওজুই পড়বেন।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৮১) 

সুন্নত বা ফরযের সাথে তাহিয়্যাতুল অজু বা মসজিদ আদায়ঃ
ওয়াক্তের সুন্নত বা ফরয নামাযের সাথে সাথে তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাযও আদায় হয়ে যাবে যদি সময় সুযোগ থাকলে পৃথক পৃথকভাবে এই দুটি নামাযকে পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 18):
"(ويسن تحية) رب (المسجد، وهي ركعتان، وأداء الفرض) أو غيره، وكذا دخوله بنية فرض أو اقتداء (ينوب عنها) بلا نية.

 (قوله: وأداء الفرض أو غيره إلخ) قال في النهر: وينوب عنها كل صلاة صلاها عند الدخول فرضاً كانت أو سنةً. وفي البناية معزياً إلى مختصر المحيط أن دخوله بنية الفرض أو الاقتداء ينوب عنها، وإنما يؤمر بها إذا دخله لغير الصلاة اهـ كلام النهر.

والحاصل أن المطلوب من داخل المسجد أن يصلي فيه ليكون ذلك تحيةً لربه تعالى: والظاهر أن دخوله بنية صلاة الفرض لإمام أو منفرد أو بنية الاقتداء ينوب عنها إذا صلى عقب دخوله، وإلا لزم فعلها بعد الجلوس، وهو خلاف الأولى كما يأتي، فلو كان دخوله بنية الفرض مثلا لكن بعد زمان يؤمر بها قبل جلوسه كما لو كان دخوله لغير صلاة كدرس أو ذكر. وبما قررناه علم أن ما نقله في النهر عن البناية لا يخالف ما قبله، غايته أنه عبر عن الصلاة بنيتها بناء على ما هو الغالب من أن من دخل لأجل الصلاة يصلي، وليس معناه أن النية المذكورة تكفيه عن التحية وإن لم يصل كما يوهمه ظاهر العبارة كما أفاده ح، والله أعلم.

(قوله: ينوب عنها بلا نية) قال في الحلية: لو اشتغل داخل المسجد بالفريضة غير ناو للتحية قامت تلك الفريضة مقام تحية المسجد لحصول تعظيم المسجد، كما في البدائع وغيره، 

قال الطحطاوی:وکذا یصح لو نوی نافلتین أو أکثر کما لو نوی تحیة مسجد وسنة وضوء وضحی وکسوف۔ (حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح: ۲۱۶/۱، دار الکتب العلمیة، بیروت )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (86 points)
reshown by
এক্ষেত্রে মা বোনদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কেমন হবে ?মা বোনরা ও কি ঘরে সালাত আদায়ের সময় ফজর আর আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরে সালাতে দাঁড়ালে তাহিয়াতুল ওযুর সালাত আদায় করবেনা ?
by
তাহিয়্যাতুল অযুর সালাত কি অন্যান্য ফরজ সালাতের ওয়াক্ত শুরু হবার পর উক্ত ফরজ সালাত আদায় করার পূর্বে আদায় করা যায়??যেমনঃজুহর,মাগরিব ও ইশার সালাতের ওয়াক্ত শুরু হবার পর যদি ওযু করে প্রথমে দু রাকাত নফল সালাত আদায় করি ও তারপর জুহর,মাগরিব ও ইশার সালাতের সুন্নত, ফরজ ও ফরজ সালাত পড়ি তাহলে কি হবে??নাকি ফরজ সালাতের ওয়াক্ত শুরু হবার পূর্বেই তাহিয়্যাতুল অযু আদায় করতে হবে??? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...