আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (103 points)
edited by
১।হিন্দুরা হাতের মধ্যে লাল, সাধা সুতা বা ব্রেসলাইট, রিং পরে বা  কোনো লকেট পরে খ্রিস্টান রা লকেট পরে অমুসলিমরা টেটো করে খেলার মাঠে শিরকি কুফরি করে তাদের সাথে বল খেলার সময় দেখলে বা মোবাইলে বা যেকোনো যায়গায় দেখলে গোনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে কি?

২।টুর্নামেন্টে টিভি পাইছে সেই টিভি বিক্রি করে নাইট ক্রিকেট খেলার আয়োজন করলে বিদ্যুৎ চুরি করে না একজনের ঘর থেকে এনে খেললে জায়েজ হবে কি?

৩।হারাম আর নাজায়েজ এর মধ্যে পার্থক্য আছে, তেমনি কি গোনাহ আর নাজায়েজ মধ্যে পার্থক্য আছে নাকি একই?


৪।বিভিন্ন জার্সিতে বা অন্যন্য যায়গায়  প্রানির ছবি বা বিভিন্ন লোগো থাকে জার্সি পরলে বা দেখরে গোনাহ হবে কি ইমানে সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (704,310 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০২)
জায়েজ হবেনা।

(০৩)
গুনাহ এবং নাজায়েজ—দুইটি সম্পর্কিত হলেও পুরোপুরি এক নয়।

★গুনাহঃ-

যে কাজ আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন বা যার মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ অমান্য হয়—সেসব কাজকে গুনাহ বলা হয়।
এটি মূলত ধর্মীয় দৃষ্টিতে অপরাধ।

★নাজায়েজ (অবৈধ)
যে কাজ শরীয়ত অনুযায়ী জায়েজ নয়, হারাম বা অবৈধ—তা নাজায়েজ।
অর্থাৎ যেসব কাজ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়।

★মূল পার্থক্যঃ-

নাজায়েজ হলো সেই কাজ যা করা শারঈভাবে নিষিদ্ধ।

গুনাহ হলো সেই নিষিদ্ধ কাজটি করলে মানুষের ওপর যে পাপ লিখিত হয়।

উদাহরণঃ-
মিথ্যা বলা নাজায়েজ (হারাম)

মিথ্যা বললে সেই ব্যক্তির উপর গুনাহ লেখা হয়।

অর্থাৎ, নাজায়েজ কাজ করলে তা গুনাহ হয়ে যায়।

(১.৪)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...