বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।(সূরা লুকমান-৩৪)
অত্র আয়াতে পঞ্চ ইন্দ্রীয় ব্যতীত নিশ্চিতরূপে গাইবের সংবাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,তা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।
গাইব শুধুমাত্র আল্লাহ-ই জানেন। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গাইবের সংবাদ জানে না।
সুতরাং
গ্রহ নক্ষত্র দেখে ভবিষ্যৎ বানী করা হারাম।এগুলো বলাও হারাম এবং এগুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করাও হারাম।তবে
(১)
জ্যোতির্বিজ্ঞানে যদি গ্রহগুলোর গতিবেগ, তাদের অবস্থা, সেখান থেকে বিশেষ কোনো আলোক রশ্মির উপর নির্ভর করে দৈননদিন জীবনে ব্যবহার করা, নাজায়েয হবে না।কেননা এখানে বাহ্যিক কিছু নিদর্শনাবলীর উপর নির্ভর করে,হুকুম আরোপ করা হচ্ছে।যা গাইব বা অদৃশ্য সংবাদের সংজ্ঞায় পতিত হবে না।
(২)
গনিতের একটি সাবজেক্ট হল, সম্ভাবনা। যেখানে কোন কোন জিনিস ভবিষ্যতে হতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথা তুলা ধরা হয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত নয়,বরং শুধুমাত্র একটি সম্ভাবনা। যেহেতু এটা একটা সম্ভাবনাময় বিষয়,তাই এ রকম সাবজেক্ট পড়া ও পড়ানো নাজায়ে হবে না।
(৩)
আবহাওয়া অফিসের সংবাদও যেহেতু নিশ্চিত কিছু নয়,তাই এগুলোকেও বিশ্বাস করা যাবে।
l