জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়াহ,যদি কিছু সংখ্যক মুসলমান (বা একজন) তাহা আদায় করে,তাহলে সকলের পক্ষ থেকেই আদায় হয়ে যাবে,যদি কেহই আদায় না করে,তাহলে সকলেই গুনাহগার হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، وَخُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَمْسٌ تَجِبُ لِلْمُسْلِمِ عَلَى أَخِيهِ، رَدُّ السَّلَامِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَازَةِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর তার মুসলিম ভাইয়ের পাঁচটি অবশ্য করণীয় রয়েছে। সালামের জবাব দেয়া, হাঁচি শুনে জবাব দেয়া, দাওয়াত কবূল করা, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া এবং জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করা।
(আবু দাউদ ৫০৩০, বুখারী,মুসলিম)
عَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: مَنْ شَهِدَ الجَنَازَةَ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا، فَلَهُ قِيراطٌ، وَمَنْ شَهِدَهَا حَتَّى تُدْفَنَ، فَلَهُ قِيرَاطَانِ قِيلَ: وَمَا القِيرَاطانِ ؟ قَالَ: مِثْلُ الجَبَلَيْنِ العَظِيمَيْنِ . متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নামায পড়া পর্যন্ত জানাযায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক ক্বীরাত্ব সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য দুই ক্বীরাত সওয়াব রয়েছে।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘দুই ক্বীরাতের পরিমাণ কতটুকু?’ তিনি বললেন, ‘‘দুই বড় পাহাড়ের সমান।’’
সহীহুল বুখারী ৪৭, ১৩২৪, ১৩২৫, মুসলিম ৯৪৫, তিরমিযী ১০৪০, নাসায়ী ১৯৯৪, থেকে ১৯৯৭, ৫০৩২, আবূ দাউদ ৩১৬৮, ইবনু মাজাহ ১৫৩৯, আহমাদ ৪৪৩৯, ৭১৪৮, ৭৩০৬, ৭৬৩৩, ৭৭১৮, ৮০৬৬, ৮৭৮৯, ১০৪৯
والصلاة علی الجنازة فرض علی الکفایة تسقط بأداء الواحد إلخ (مبسوط) الصلاة علیہ ککفنہ ودفنہ وتجہیزہ فرض کفایة مع عدم انفراد بالخطاب بہا ولو امرأة فلو انفرد واحد بأن لم یحضرہ إلا ہو تعین علیہ تکفینہ ودفنہ کما في الضیاء والشمني والبرہان? (طحطاوي)
সারমর্মঃ
জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়াহ , একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে সাকেত হয়ে যাবে।
★জানাযা নামাজের সম্পূর্ণ নিয়ম জানুনঃ
۔
শরীয়তের বিধান হলো যদি মৃত ব্যাক্তির শরীর না পাওয়া যায়,তাহলে জানাযা নামাজের বিধান নেই।
,
لمافی الھندیۃ (۱۵۹/۱) کتاب الصلوۃ الباب الحادی والعشرون:ولو وجد أكثر البدن أو نصفه مع الرأس يغسل ويكفن ويصلى عليه كذا في المضمرات وإذا صلي على الأكثر لم يصل على الباقي إذا وجد كذا في الإيضاح۔
যদি মৃত ব্যাক্তির শরিরের অধিকাংশ অংশ পাওয়া যায়,অথবা মাথা সহ অর্ধেক শরীর পাওয়া যায়,তাহলে কাফন পড়ানো হবে, জানাযা নামাজ আদায় করতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা মৃত ব্যাক্তির শরীর যদি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে বা অন্য কোনো কারনে খুঁজে পাওয়া না যায়,তাহলে তারা জানাযার কোনো বিধান নেই।