আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

উস্তাদ আমার এক বোন , পরামর্শের জন্য নিচে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছেন।

আসসালামু আলাইকুম ।আমি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি পাশাপাশি মাদ্রাসা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি সেখানে বোর্ডের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে এইচএসসি ভর্তি হয়েছি পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা পড়া চালিয়ে যাচ্ছি আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আমি ঢাকা ভার্সিটি থেকে আইন এ পড়াশোনা করার এবং উচ্চ ডিগ্রী অর্জন করার ।সমস্যা হল আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে তারা আমার পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহী তবে ছেলের উচ্চ ডিগ্রির অর্জনের জন্য বিদেশ ভ্রমণের কারণে পড়াশোনার মাঝপথে বাধা গ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে কুফু মিলেছে ।ছেলেরা ধার্মিক কিন্তু ছেলে পক্ষর ইচ্ছা আমি কওমি মাদ্রাসারপড়াশোনাটা সুন্দরভাবে সমাপ্ত করি পাশাপাশি জেনারেল লাইনের পড়াশোনাও অব্যাহত থাক যতদিন বাধা না আসে ।তবে তাদের উদ্দেশ্য আমি যেন ভবিষ্যতে নিজে কোরআন সুন্নাহ জানি এবং সে অনুযায়ী নিজে মানি । আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমার শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ ঘটায় পারিবারিক জীবনে অন্যদেরকে শিখায় এবং তাদেরকে উৎসাহিত করি। ঘরে বসে অন্য নারীদের মাঝে কুরআন এবং সুন্নাহ শিক্ষা দান করি অর্থাৎ অনলাইনে যারা জানে না তাদেরকে কোরআন সঠিকভাবে পড়তে শিক্ষাদান করি। আমি যেন কোরআন ও হাদিস নিজে শিখিএবং অন্যকে শিক্ষা দান করি ।আমি অন্য নারীদের কাছে আদর্শ হয়। নিজের মেধা দিয়ে কুরআন এবং হাদিস জানার চেষ্টা করি। অন্যদের মাঝে একজন আদর্শবান দায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি। আমার সন্তানদের মাঝে আমি যেন আদর্শ মা হতে পারি ,অনুসরণীয় অনুকরণীয় হতে পারি।এটাই তাদের উদ্দেশ্য ।কিন্তু আমার ইচ্ছা আমি উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। এখন আমার প্রশ্ন আমার কি করা উচিত বিয়েতে রাজি হওয়া নাকি পড়াশোনা কে প্রাধান্য দেওয়া? মেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি? স্বামী স্বাবলম্বী হলেও মেয়েরা কি পর্দার সাথে চাকরি করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
ago by (696,300 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি উপরোক্ত শর্তসাপেক্ষে চাকরি করতে পারবেন।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিয়েকে প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...