আসসালামু আলাইকুম
ঘটনা:
আমার বন্ধু ২০১২ সালে ছাত্রাবস্থায় গোনাহ থেকে বাঁচতে পরিবার ছাড়া তাবলীগের আরেক বন্ধু ও আমার সহযোগিতায় কাজি অফিসে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে এবং তার স্ত্রী যার যার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতো। ২০১৩ সালে মোবাইলে কথা বলার সময় ঝগড়া হওয়ায় রাগের বসে মোবাইলে টেক্সট করে তিনবার তালাক লিখে তার স্ত্রীকে পাঠিয়েছিল। এই তালাক লেখা টেক্সট পাঠানোর ১৫/২০ দিন পর তারা একসাথে রাত্রিযাপন করেছে।এরপর ২০১৪ সালে আরেকবার ফোনে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার বউ তাকে বলেছে ছেড়ে দিলে দাও ,সেসময় সেও নাকি বলেছিল যাও দিলাম।। সেবারও এই কথার ১০/১৫ দিন পর উনারা একসাথে রাত্রিযাপন করেছিল।তখন দুজন ই ছাত্র অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তাদের পারিবারিকভাবে আবার বিয়ে হয় যেহেতু প্রথমবার বিয়ের কথা পরিবার জানতো না। সে বিয়ের পর বর্তমানে তাদের ১ সন্তান রয়েছে। কিন্তু এই দুবারা বিয়ের পর ২০২৩ সালে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার বন্ধু তার স্ত্রীকে একবার তালাক উচ্চারণ করেছিল। তার বক্তব্য তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য সে বলে নি শুধু রাগের মাথায় মুখ দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুজন ১০ মিনিট পর ই ঠিক হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন যাপন করতে থাকে। উল্লেখ্য প্রতিবার ই তালাক লেখা এবং বলার ক্ষেত্রে কোন বারেই তার নিয়তে তালাক দেয়া ছিল না। রাগের মাথায় অতিরিক্ত উত্তেজিত অবস্থায় সে বলে ফেলেছিল কিন্তু ছেড়ে দেয়ার নিয়ত তার মাথায় ভুলেও আসে নি।
প্রথমবার তালাক লেখা এবং দ্বিতীয়বার ফোনে বলার সময় তার স্ত্রী হায়েজ অবস্থায় ছিল কিনা এটা কারো ই মনে নেই। কারণ তখন এটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে নি। ইদানীং ইসলামি আলোচনা শুনে সন্দেহ হওয়ায় জানতে চাচ্ছে।
আগে এরা বিয়ে ও তালাক সম্পর্কে এতো জানতো না এবং ইসলামের বিধান জানতো না। ইদানীং ইসলামি আলোচনা শুনে মনে প্রশ্ন জাগ্রত হওয়ায় ওরা জানতে চাচ্ছে এই ঘটনাসমূহে ইসলামি দৃষ্টিতে কোন সমস্যা আছে কিনা? সমস্যা হলে এর সমাধান কি??
আমি যতদূর জানি এরা পারিবারিক জীবনে বেশ খুশি এবং আধুনিক মনমানসিকতা ধারণ করেন। ইদানীং ইসলামি ধ্যান ধারণা মাথায় আসায় এগুলো ভাবছে এবং দ্বীনের বিধান পরিপূর্ণ পালনে আগ্রহী।
আপনি সদয় পরামর্শ দিলে এরা উপকৃত হতো।