আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
উস্তাদ
আমার স্বামী একজন প্রবাসী।ওনি যেখানে থাকেন সেটা একটা বিধর্মী রাষ্ট্র।সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত পড়তে পারেন না। নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক সময় নামাজ কাজা হয় পড়তে দেয় না। তাছাড়া ঐখানে ফেতনা বেশি যার কারনে নিজের চরিত্র হেফাজত করা অনেক কঠিন।

যার কারণে ওনি দেশে চলে আসতে চাইতেছেন।

এখন ওনি দেশে আসলে হয়তো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবে না ১০/১৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারে আবার নাও হতে পারে। এখন যদি আমি চিন্তা করি ওনি দেশে আসলে হয়তো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবে না তখন তো আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে এখন আমি যদি একটা চাকরি করি পাশাপাশি আমার স্বামী দেশে কিছু একটা করার চেষ্টা করল তখন আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না আমরা সুখে থাকতে পারব। ভবিষ্যতে আমাদের কষ্ট করতে হবে না।

চাকরি করলে যদি আল্লাহ তায়ালা সন্তান দান করেন আল্লাহর রহমতে তখন তো তাদের দেখাশোনা করা স্বামীর খেদমত পরিপূর্ণ ভাবে করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না।এখন আমি কি করতে পারি একটা পরামর্শ দিলে মুনাসিব হতো উস্তাদ ।

এখন যদি আমি একটা চাকরি করি তাহলে কি আমার জন্য চাকরি করাটা জায়েজ হবে।
closed

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরের শর্তাবলী মেনে স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে আপনি বৈধ চাকরি করতে হবে।

স্বামীর খেদমত পরিপূর্ণ করতে না পারলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি স্বামী যদি সন্তুষ্টি চিত্তে মেনে নেয়,তাহলে সমস্যা হবেনা।

তবে নবজাতক সন্তানের খেদমত পরিপূর্ণ করতে না পারলে সেক্ষেত্রে তার হক আদায় না করতে পারলে আপনার গুনাহ হবে।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অনলাইনে/অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।

অথবা এমন কোনো চাকরি করতে পারেন,যেটি বাসা থেকেই করা যায় অথবা সেই চাকরি করা অবস্থাতেও আপনি সন্তানের খেদমত করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...