আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (70 points)
আমার স্বামীর সাথে প্রচুর ঝগড়া হয় এক পর্যায়ে সে বলে কালকে সবাইকে ডাকো ওরে আমি' ডিভোর্স 'দিমু
পরে গতকাল আবার ঝগড়া হইসে তখন আমি বলসি আপনার ওমুকের(আত্মীয়)  মুখ ও দেখতে চাই না তখন সে ও বলসে তাইলে তো 'তোমার মুখ দেখাও আমার জন্য নাজায়েজ হইয়া গেসে'
দুই তালাক কি পরেছে?

আর যদি পরে আমরা সংসার করিও তাহলে কি পরে কি বিবাহ দোহরানো লাগবে? এবং সে যদি পরবর্তীতে আর একবার এহেন কথা মুখ দিয়ে বের করে তাহলে কয় তালাক ধরব?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

أفتى المتأخرون فى “انت على حرام” بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية (رد المحتار، زكريا-4\466، كرتاشى-3\253)

মুতায়াখখিরিনে উলামায়ে কেরামগন ফতোয়া প্রদান করেছেন "তুমি আমার উপর হারাম" বললে নিয়ত ছাড়াই বায়েন তালাক পতিত হবে। 
সমাজের প্রচলনের কারনে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৪৬৬)

في البحر الرائق: لو قال لها: أنت علي حرام، والحرام عنده طلاق وقع وإن لم ينو.وذكر الإمام ظهير الدين لا نقول لا تشترط النية ولكن نجعله ناويا عرفا.

স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি আমার উপর হারাম। আর হারাম শব্দটিকে সে তালাকের অর্থেই বুঝে থাকে তাহলে স্বামী তালাকের নিয়ত না করলেও তালাক পতিত হবে। ইমাম জহীরুদ্দীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা এ কথা বলি না যে, এ ক্ষেত্রে নিয়তের শর্ত নেই, নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে। বরং আমরা বলি—সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এটি এমনিতেই নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়িক : ৩/৫২৩)

في البحر الرائق: لو قال لها: أنت علي حرام، والحرام عنده طلاق وقع وإن لم ينو.
 (البحر الرائق، زكريا-3\523، كويته-3\300)

স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি আমার উপর হারাম। আর হারাম শব্দটি তালাকের অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাই স্বামীর তালাকের নিয়ত না করলেও তালাক পতিত হবে। (আল-বাহরুর রায়িক : ৩/৫২৩)

فى الفتاوى التاتارخانيه: انت علي حرام والفتوى أنه يقع به البائن، وان لم ينو لغلبة الاستعمال.
 (تاتارخانية-4\448، رقم: 6637)

স্বামীর বক্তব্য “তুমি আমার উপর হারাম” এর দ্বারা তালাক বাইন পতিত হওয়ার উপরই হচ্ছে ফাতাওয়া। এ ধরনের বক্তব্যের বহুল ব্যবহার তালাকের জন্য হওয়ার দরুন স্বামী তালাকের নিয়ত না করলেও তালাকে বাইন পতিত হবে। (আল-ফাতাওয়াত তাতারখানিয়া : ৪/৪৪৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে 
"কালকে সবাইকে ডাকো ওরে আমি' ডিভোর্স 'দিমু" বলার দরুন তালাক পতিত হয়নি।

 "তোমার মুখ দেখাও আমার জন্য নাজায়েজ হইয়া গিয়েছে"
বলার দরুন এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে।

উক্ত স্বামীর জন্য স্ত্রীর সাথে ঘর-সংসার বহাল রাখতে হলে পুনরায় নতুন করে বিবাহ (আকদ) করা জরুরি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (70 points)
আর যদি বিবাহ দোহরানোর পর কয়বার বললে মূল তালাক পতিত হবে?
by (695,850 points)
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত স্ত্রীর উপর এক তালাক পতিত হয়েছে।

তারা যদি পুনরায় বিবাহ করে নেয়, সেক্ষেত্রে স্বামী আর দুই তালাকের মালিক থাকবে।

 স্বামী যদি পরবর্তীতে দুই তালাক দেয়, তাহলে ওই স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...