আমার স্ত্রী যৌথ ফ্যামিলিতে থাকে। অর্থাৎ আমি আমার স্ত্রী আমার ছোট বাচ্চা আমার মা এবং আমার ছোট ভাই থাকে। বাবা প্রবাসে আছে। এখন আমার ছোট ভাই তো স্ত্রীর জন্য নন মাহরাম। একটা ফ্ল্যাটের মধ্যে আমরা সবাই থাকি। এক রুমে আমি, আমার স্ত্রী, আমার মেয়ে বাচ্চা। পাশের আরেক রুমেই ছোট ভাই থাকে, মা থাকে। আমার ভাইয়ের বয়স ১৬ থেকে ১৭ এমন হবে। এখন আমার স্ত্রী কাজের জন্য বা যেকোনো প্রয়োজনে রুম থেকে বের হলে ক্ষিমার (বোরকার মতো) পরে বের হয়, যেন পর্দা নষ্ট না হয়। আমার ভাইও মোটামুটি দ্বীনদার, চোখের কিছুটা হেফাজত করে। এমনিতে পর্দার সমস্যা হয় না। আমার ভাই সহজে কোনো সময় সামনে পড়ে না আমার স্ত্রীর। যদি কোনো সময় সামনে পরে যায় খিমার পরা অবস্থায় ই পরে।
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে কন্ঠের পর্দা নিয়ে। এখন আমার স্ত্রী স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য রুম থেকে যখন বের হয় তখন আমার মার সাথে বিভিন্ন প্রয়োজনে কথা বলতে হয়। এছাড়া আমার ছোট মেয়ে বাচ্চা আছে, সে দৌড়াদৌড়ি করে তাকে ডাকতে হয় তার সাথে অনেক কথা বলতে হয়। তো আমার ছোট ভাই সারাদিনই তো বাসায় থাকে। সে অন্য রুমে থাকে কিন্তু আমার স্ত্রীর কাজকর্মে স্বাভাবিক কথাবার্তা, আমার মেয়ে বাচ্চার সাথে স্বাভাবিক কথাবার্তা, বা আমাদের রুমে থেকেও আমাদের স্বাভাবিক একটু জোরে কথাবার্তা এগুলা তো সে শুনতে পায়। যেহেতু ফ্ল্যট বাসা, পাশাপাশি রুম। এখন এক ফ্লাটে থেকে কন্ঠে আওয়াজ না শুনিয়েও থাকার উপায় নেই।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি যতটুক জানি এ কন্ঠের পর্দা করা ফরজ। এবং মেয়েদের যে স্বাভাবিক কন্ঠ এটাই নাকি কোমল কন্ঠ। গাইরে মাহরামের সাথে কথা বলতে হলে নাকি কঠোর কন্ঠের কথা বলতে হয়। এখন আমার স্ত্রী তো কোনো সময়ই আমার ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলে না। আর আমার ছোট ভাইও খুব লজ্জাশীল এবং এগুলো থেকে খুবই বিরত থাকে। কিন্তু আমার স্ত্রীর যে স্বাভাবিক কথাবার্তা কাজকর্মের সময় বা বাচ্চার সাথে বা আমার সাথে মায়ের সাথে ইত্যাদি। এগুলো তো আমার ভাই পাশের রুম থেকে শুনতে পাই। তো এখন কি আমার স্ত্রীর কন্ঠের পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা? আর কন্ঠের পর্দা লঙ্ঘন হলে আমার কি গুনাহ হচ্ছে কিনা?? এজন্য আমি কি ব্যবস্থা নিতে পারি??