আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
আপনারা বলেন গোসলে নাকে পানি নরম জায়গায় দেওয়া সুন্নত। আর ঢুকানো ফরজ।।

 কিন্তু কোন কোন ওয়েবসাইট এ দেখলাম বলতেছে নরম জায়গা পর্যন্ত নাকে পানি দেওয়া ওয়াজিব। এখন আগে তো নরম জায়গা কি বুঝতাম না মনে হইতো নাকের মাঝের পিট টা। এখন জানি একবারে শেষ মাথা। তো কাল হাতে পানি টানতে গিয়া মাথায় উঠে গেছে।
১। বিষয়টা আসলে কি কতটুকু না নিলে গোসল ই হবে না?
২৷ এত দিন তো নাকে পানি দেওয়ার সময় মিডিয়াম লেভেলে ঢুকাতাম। এই নামাজ গুলা কি হবে?
৩। যাদের নাকের সমস্যা বা নাক বন্ধ থাকে / যেমন আনার ওয়াইফ বলে ওর অভাবে টানলে মাথায় উটে যায় এক্ষেত্রে কি তাড়া অল্প টানবে?
৪। শাশুড়ীর সাথে বউ এর বিড়াল অপছন্দ নিয়া কথা বলার সময় বললাম " আব্বু বলছে ( ওয়াইফ এর নাম ধরে)  ও তো আম্মুর মতোই - এই কথা দারা জিহার হবে নাকি?  নিয়ত ছিলো বিড়ালের অপছন্দ টা আম্মুর সাথে মিলানো

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)
,
ফরজ গোসলের নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
ফরজ গোসলে কুলি, নাকে পানি দেওয়া,আর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিলেই যথেষ্ট। 
বাকি যেসব নিয়ম বলা হয়,সেগুলো সুন্নাত,মুস্তাহাব।
তবে সেই নিয়ম গুলো সহ আদায় করাই উচিত। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ গোসলে নাকে পানি দিলে গোসলের ফরজ আদায় হবে।

(০২)
এই নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।
সমস্যা হয়নি।

(০৩)
অল্প টানবে।
আঙ্গুল ভিজিয়ে নাকের ভিতর ভালোকরে পানি পৌছিয়ে মুছলেও হবে।

(০৪)
না,এর দ্বারা জিহার হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাজাকাল্লাহ। হুজুর আপনাদের বিকাশ নানবার টা দিয়েন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...