সুরা নুর এর ৪৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ یُؤَلِّفُ بَیۡنَهٗ ثُمَّ یَجۡعَلُهٗ رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِهٖ ۚ وَ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡهَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُهٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِهٖ یَذۡهَبُ بِالۡاَبۡصَارِ ﴿ؕ۴۳﴾
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তুপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।
সুরা আল ইমরানের ১১৭ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
مَثَلُ مَا یُنۡفِقُوۡنَ فِیۡ هٰذِهِ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا کَمَثَلِ رِیۡحٍ فِیۡهَا صِرٌّ اَصَابَتۡ حَرۡثَ قَوۡمٍ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فَاَهۡلَکَتۡهُ ؕ وَ مَا ظَلَمَهُمُ اللّٰهُ وَ لٰکِنۡ اَنۡفُسَهُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۱۱۷﴾
এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু ব্যয় করা হয়, তার তুলনা হলো ঝড়ো হাওয়ার মতো, যাতে রয়েছে তুষারের শৈত্য, যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে গিয়ে লেগেছে যারা নিজের জন্য মন্দ করেছে। অতঃপর সেগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের উপর কোন অন্যায় করেননি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যাচার করে।
এখানে "তুষারের শৈত্য " বলা হয়েছে ৷ অর্থাত ঠান্ডা এলাকা৷
অপর দিকে সূরা আন নূর (39) এ আল্লাহ বলেছেন
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻬُﻢْ ﻛَﺴَﺮَﺍﺏٍ ﺑِﻘِﻴﻌَﺔٍ ﻳَﺤْﺴَﺒُﻪُ ﺍﻟﻈَّﻤْﺂﻥُ ﻣَﺎﺀ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻟَﻢْ ﻳَﺠِﺪْﻩُ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻭَﺟَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﻓَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺣِﺴَﺎﺑَﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﺮِﻳﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ (39)
যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভুমির মরীচিকা সদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। এমনকি, সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব পরিপূর্ণ করে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।