আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,643 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম,

একজনের সাথে কথা বলার মাঝে প্রশ্ন করেন যে, ক্বোর'আনে তুষারপাতের কথা বলা নাই কেন? আমি উত্তর দিতে পারিনি। আমি এমন কোনো কথা কখনো শুনিও নাই।তাই চুপ ছিলাম।  উত্তর জানালে কৃতজ্ঞ হবো। জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পবিত্র কুরআনে তুষারপাতের কথা বলা হয়েছে।    

সুরা নুর এর ৪৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ یُؤَلِّفُ بَیۡنَهٗ ثُمَّ یَجۡعَلُهٗ رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِهٖ ۚ وَ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡهَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُهٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِهٖ یَذۡهَبُ بِالۡاَبۡصَارِ ﴿ؕ۴۳﴾

তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তুপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।

সুরা আল ইমরানের ১১৭ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

مَثَلُ مَا یُنۡفِقُوۡنَ فِیۡ هٰذِهِ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا کَمَثَلِ رِیۡحٍ فِیۡهَا صِرٌّ اَصَابَتۡ حَرۡثَ قَوۡمٍ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فَاَهۡلَکَتۡهُ ؕ وَ مَا ظَلَمَهُمُ اللّٰهُ وَ لٰکِنۡ اَنۡفُسَهُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۱۱۷﴾

এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু ব্যয় করা হয়, তার তুলনা হলো ঝড়ো হাওয়ার মতো, যাতে রয়েছে তুষারের শৈত্য, যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে গিয়ে লেগেছে যারা নিজের জন্য মন্দ করেছে। অতঃপর সেগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের উপর কোন অন্যায় করেননি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যাচার করে।

এখানে "তুষারের শৈত্য " বলা হয়েছে ৷ অর্থাত ঠান্ডা এলাকা৷

অপর দিকে সূরা আন নূর (39) এ আল্লাহ বলেছেন
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻬُﻢْ ﻛَﺴَﺮَﺍﺏٍ ﺑِﻘِﻴﻌَﺔٍ ﻳَﺤْﺴَﺒُﻪُ ﺍﻟﻈَّﻤْﺂﻥُ ﻣَﺎﺀ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻟَﻢْ ﻳَﺠِﺪْﻩُ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻭَﺟَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﻓَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺣِﺴَﺎﺑَﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﺮِﻳﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ (39)

যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভুমির মরীচিকা সদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। এমনকি, সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব পরিপূর্ণ করে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...